সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা গণ অধিকার পরিষদের
Published: 24th, July 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণ অধিকার পরিষদ। এ তালিকায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও আছেন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক তালিকা, পর্যায়ক্রমে বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তালিকা ঘোষণা করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। এ সময় দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক পটুয়াখালী-৩, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান ঠাকুরগাঁও-২ এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেত্রকোনা-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ ছাড়া দলের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ কিশোরগঞ্জ–১, দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান টাঙ্গাইল-২, উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান রংপুর-১, শহিদুল ইসলাম পটুয়াখালী-১, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী কুড়িগ্রাম-৩, আশরাফুল বারী হবিগঞ্জ-৩, খালিদ হাসেন খুলনা-৫ এবং কবীর হোসেনকে টাঙ্গাইল-৬ আসনের জন্য প্রার্থী করা হয়েছে।
এ তালিকায় রয়েছেন দলের সহসভাপতি ইব্রাহিম রওনক (ঢাকা-৫), গোলাম সরওয়ার খান (পাবনা-২), মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান (মুন্সিগঞ্জ-১), শফিকুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-২), মীর মো.
তালিকায় আরও রয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (ঢাকা-১৩), চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক এমদাদুল হাসান (চট্রগ্রাম-১২), মানিকগঞ্জ জেলার সহসভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোছাইন (মানিকগঞ্জ-১), গাইবান্ধা জেলার সহসভাপতি মো. সুরুজ্জামান (গাইবান্ধা-৩), বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ (চট্টগ্রাম-১৪) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-১)।
এ তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন আবদুজ জাহের (নোয়াখালী-৪), আবদুর রহমান (গাজীপুর-২), আবদুল কাদের (কক্সবাজার-১), রবিউল হাসান (পটুয়াখালী-৪) এবং নাছরিন আক্তার (চট্টগ্রাম-৩)।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার ওয়াপদার মোড় এলাকার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া মহাসড়কে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিএনপির দুর্দিনে পাশে থেকেছেন, সেই ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগ–সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা কমিটিগুলো বাতিলের পাশাপাশি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রইসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব নাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুস সবুর, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলাটি বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষ ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অন্যটি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়ার অনুসারী। তাঁরা দুজন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
২৩ অক্টোবর রাতে বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভার ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া।
আজ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সড়কের ওপর বসে দাবির সমর্থনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বিএনপির পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এতে সড়কের আটকে পড়ে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
পরে বেলা দুইটার দিকে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে ঘোষিত কমিটি দুটি বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও সব সড়ক অবরোধ করা হবে।