জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
Published: 25th, July 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “আমার লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। এটি শুধু আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়—এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই) যশোর কালেক্টরেট মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় তিনি এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
আরো পড়ুন:
আইসিসির সদস্যপদ পেল পূর্ব তিমুর ও জাম্বিয়া, মোট এখন ১১০
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: ২০৩১ পর্যন্ত ফাইনালের মঞ্চ ইংল্যান্ডেই
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমি দীর্ঘ সরকারি চাকরি জীবনে অনেক দায়িত্ব পালন করেছি, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তবে, এই মুহূর্তে যে গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে এসেছে—তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নেই, বরং দেশের জন্য একটি ভালো কাজ করে যেতে চাই।”
এ সময় তিনি ঢাকায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য মসজিদে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন এবং শোক প্রকাশ করেন।
এ সময় কালেক্টরেট মসজিদে যশোরের জেলা প্রশাসক মো.
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না: এনসিপি
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিকে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে যদি অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির সদস্যসচিব এ কথাগুলো বলেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যায়, তাহলে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব বলেও মনে করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এ রকম একটা টাইমলাইন অনেক আগেই বলছে। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে বিচার-সংস্কারকে দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণার দিকে যেতে হবে। অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘এর আগে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, তখন আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। যদি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না, তা বলার অবকাশ রাখে না।’
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যাঁরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যদি সরকার নির্বাচনের মতো বিষয়কে খোলাসা ও সুনির্দিষ্ট করতে শুরু করে, তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করব।’
রোববারের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।