রোনালদোর পাশে ফেলিক্স? ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে দৌড়াচ্ছে আল-নাসর
Published: 27th, July 2025 GMT
সৌদি আরবের ফুটবলে যেন রূপকথার গল্প লেখা হচ্ছে নতুন করে। তারকা তারকায় ভরা দলগুলোর প্রতিযোগিতায় এবার বড় চমক নিয়ে হাজির আল-নাসর। শোনা যাচ্ছে, ৫০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের এক আলোচিত ট্রান্সফার ডিল একেবারে শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে নিতে চলেছে তারা। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগিজ জাতীয় দলের সতীর্থ, ২৪ বছর বয়সী জোয়াও ফেলিক্স।
নতুন কোচ জর্জ জেসুসের অধীনে ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে আল-নাসর। আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা গড়ে তুলছে একটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোয়াড। যার অন্যতম বড় চমক হতে চলেছে জোয়াও ফেলিক্স।
ফেলিক্স মূলত ফিরতে যাচ্ছিলেন নিজের পুরনো ক্লাব বেনফিকায়। কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সৌদি ক্লাব আল নাসরের আগ্রহ এবং ফেলিক্সের আগ্রহের সাড়া মিলে ব্যাপারটা পুরো পাল্টে যায়। ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিজিও রোমানোর মতে, এই ডিল এখন অনেকটাই চূড়ান্তের পথে।
আরো পড়ুন:
রাশফোর্ডের অভিষেক, তরুণদের ঝলকে বার্সার জয়
মেসিহীন মায়ামির হতাশা, নাটকীয় ড্রয়ে থমকে গেল স্বপ্নযাত্রা
ফেলিক্স, যিনি ২০২৫ সালের জুনে দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা জয়ের দলে ছিলেন, ইউরোপে একাধিক ক্লাব ঘুরেও নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা ও সর্বশেষ এসি মিলানে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, কোথাও স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারেননি। ফলে এখন সৌদি আরবে রোনালদোর পাশে নতুন অধ্যায় শুরুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে রেকর্ড ১২৬ মিলিয়ন ইউরোতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফেলিক্স। এরপর বেশ কিছু ধারে খেলা হলেও চেলসিই ছিল তার বর্তমান মালিকানাধীন ক্লাব। তারা এবার তাকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করতে চায়, আর বেনফিকাও আগ্রহী ছিল তাকে ফেরাতে।
কিন্তু সমস্যার শুরু চেলসির চাহিদা নিয়ে। তারা ফেলিক্সের জন্য চাইছিল ৫৪ মিলিয়ন ইউরো, যা তারা এক বছর আগে দিয়েছিল। বেনফিকা তাদের প্রস্তাব দেয় ৫০ শতাংশ মালিকানার জন্য ২৫ মিলিয়ন ইউরো। চেলসি পাল্টা চুক্তিতে শর্ত যোগ করে—২০২৭-২৮ মৌসুমে খেলোয়াড় বিক্রি না করলে আরও ১৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের বিক্রিতেও লাভের ৫০ শতাংশ ভাগ। এই শর্ত মেনে নেওয়ার মতো অবস্থা বেনফিকার ছিল না।
ফলে আলোচনার টেবিলেই থেমে যায় তাদের আশা। আর সেই ফাঁকেই এগিয়ে আসে আল-নাসর।
জানা গেছে, আল-নাসরের কোচ জর্জ জেসুস ও অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ব্যক্তিগতভাবে ফেলিক্সকে রাজি করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিয়মিত খেলার সুযোগ চাইছেন ফেলিক্স, আর সৌদি আরবের মঞ্চে রোনালদোর পাশে সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
সব মিলিয়ে, আল-নাসর যদি শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে, তবে সেটা শুধু ক্লাবের জন্য নয়; পুরো সৌদি ফুটবল লিগের জন্যই হবে এক বিশাল পাওয়া।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য ন ইউর
এছাড়াও পড়ুন:
৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্টে দেশি প্রযুক্তি
দেশি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও আত্মনির্ভরতার এক অনুপ্রেরণামূলক প্রতিচ্ছবি হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সবুজ মাঠে এবারের ‘৮ম ড্যাফোডিল ক্যাপ্টেন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৫’ আয়োজনটি ছিল ব্যতিক্রমী। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয় বরং বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা ও মানসিক প্রশান্তির এক মহামিলনমেলা।
খেলাধুলা ও সুস্থ জীবনধারার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা ড্যাফোডিল গ্রুপ এ বছরও সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল গর্বিত অংশীদার। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫), সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল গ্রুপ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ও কেজিসি ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের গলফার, সামরিক ও বেসামরিক অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের প্রায় ৬৫২ জন গলফার। টুর্নামেন্ট শেষে কর্নেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চ্যাম্পিয়ন, কর্নেল মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম রানার আপ এবং মিসেস জিন সুক ইউন লেডিস উইনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫এই বছরের টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত গলফ ছাতাটি ছিল সম্পূর্ণ দেশি উদ্যোগে তৈরি, যা বাংলাদেশের ব্যবসা ও উদ্যোগের জগতে এক নতুন অধ্যায়। এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশেও স্পোর্টসের সামগ্রী দেশিভাবে তৈরি ও রপ্তানি করা সম্ভব। এ নিয়ে মো. সবুর খান বলেন, ‘এই ধরনের সব খেলার সামগ্রী আমাদের সাধারণত বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। তবে আমরা চাইলে খেলার সামগ্রীগুলোর ক্ষেত্রে আমদানিমুখী না হয়ে নিজেদের উদ্যোক্তাদের ব্যবহার করে বাইরের দেশে উল্টো রপ্তানি বাড়াতে পারি। এই ছাতার মান হয়তো প্রথমবারেই শতভাগ আন্তর্জাতিক নয়, কিন্তু এই সামান্য ছাতাই আমাদের সাহসের প্রতীক, দেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
বিজ্ঞপ্তি