বিপৎসীমার ওপরে পটুয়াখালীর নদ-নদীর পানি, ৬ গ্রাম প্লাবিত
Published: 28th, July 2025 GMT
অমাবস্যার কারণে সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত চারদিন ধরে প্রতিনিয়ত দুই দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের বাইরের সব নিম্নাঞ্চল।
এ জেলায় নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর, কাঁকড়াবুনিয়া এবং দমুকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া, উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি ও চরগরদি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে, ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ১০টি ও বাউফল উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
আরো পড়ুন:
সেন্টমার্টিনে তিনদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ, খাদ্য সংকট
নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত
স্থানীয়রা জানান, পানি প্রবেশ করেছে অনেকের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অনেক পাকা ও আধা পাক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর।
এদিকে, উত্তাল বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের ঝাউ বাগান সংলগ্ন জাতীয় উদ্যান ও বেড়িবাঁধ থেকে সৈকতে প্রবেশের সড়কে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন হোসেনপাড়া এলাকার সড়কের প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে ওই গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
ডিসি পার্ক সংলগ্ন সৈকত সড়কে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেঙে গেছে অসংখ্য গাছপালা। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার সৈকতের বিভিন্ন স্থানের অব্যাহত বালুক্ষয়ে মাটির স্তর বেড়িয়ে এসেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ, মন্দির ও ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা।
বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, “তেঁতুলিয়া নদীর পানি প্রবেশ করে আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। আমাদের বাড়ি ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। অনেক দুরাবস্থার মধ্যে আছি।”
সদর উপজেলার ইদ্রাকপুর গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, “বেড়িবাঁধ নতুন করে ভেঙেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। প্রতিনিয়ত দুই দফা পানিতে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। এমনকি ঘরের মধ্যেও পানি প্রবেশ করেছে।”
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরিকুর রহমান বলেন, “দুই দিন আগে কুয়াকাটা সৈকত সড়ক এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ব পৎস ম র নদ র প ন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।