স্ত্রীকে কেন ‘নিষ্ঠুর’ বললেন রাজকুমার?
Published: 11th, July 2025 GMT
বলিউড তারকা যুগল রাজকুমার রাও-পত্রলেখা। প্রায় এক যুগ প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল। দাম্পত্য জীবনে দারুণ সময় পার করছেন। কয়েক দিন আগে বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজকুমার রাও। এ আলাপচারিতায় স্ত্রী পত্রলেখাকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে মন্তব্য করেছেন এই অভিনেতা।
স্ত্রী পত্রলেখার কাছ থেকে কাজ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান কি না? জবাবে রাজকুমার রাও বলেন, “হ্যাঁ। বেশিরভাগ সময়, আমার যেকোনো কাজের প্রথম দর্শক পত্রলেখা। তার প্রতিক্রিয়া আমার কাছে অনেক অর্থবহ। কারণ আমি চাই, আমি যা কিছু করেছি তাতে সে ভালো অনুভব করুক। পত্রলেখা আমার সবচেয়ে সৎ সমালোচক।”
আরো পড়ুন:
মাধুরীর জীবনে যত প্রেম!
জেন-জিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করি না: কাজল
পত্রলেখা নিষ্ঠুর কি না জানতে চাওয়া হলে রাজকুমার রাও বলেন, “হ্যাঁ, পত্রলেখা খুবই নিষ্ঠুর। পত্রলেখা আমাকে নির্মমভাবে বলে, ‘তুমি ভালো করেছো। কিন্তু সিনেমাও ঠিক ছিল। টাইমপাস।”
‘স্ত্রী টু’ তারকা রাজকুমার বলেন, “বেশিরভাগ সময় আমার অনুভূতি তার অনুভূতির সঙ্গে মিলে যায়। একইভাবে, আমিও তার কাজ সম্পর্কে আমার অনুভূতি সম্পর্কে খুব খোলামেলাভাবে বলি। কারণ আপনার চারপাশে খুব বাস্তব মানুষদের প্রয়োজন, অন্যথায় যদি আপনি আপনার চারপাশে ‘হ্যাঁ’ বলা মানুষকে রাখেন, তাহলে কোনো উন্নতি হবে না।”
দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মিত ‘লাভ সেক্স আউর ধোঁকা’ সিনেমায় প্রথমবার রাজকুমারকে দেখেন পত্রলেখা। সিনেমায় দেখে পত্রলেখা ভেবেছিলেন, নেতিবাচক চরিত্রের এই অভিনেতা বাস্তবেও একই রকম। ২০১৩ সালে ‘সিটি লাইটস’ সিনেমার জন্য রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে পত্রলেখাকে ভাবা হয়। এরপর রাজকুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান পত্রলেখা, সঙ্গে নিয়ে যান তার বড় বোনকে।
পত্রলেখা পরে অবাক হয়ে দেখেন মোটেও খারাপ মানুষ নন রাজকুমার। একেবারে অন্য এক মানুষ। উপলদ্ধি করতে পারেন, রাজকুমার ভালো অভিনয়শিল্পী। তারপর কয়েক দিন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান চলে। এভাবে কখন যে প্রেমটা হয়ে যায়, তা কেউই বলতে পারেন না। সর্বশেষ ২০২১ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল।
২০২৫ সাল রাজকুমারের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা চলে। একদিকে যেমন ‘মালিক’ সিনেমায় অন্যরকম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে, তেমনই আবার চলতি বছরেই ঘোষণা হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক ‘মহারাজ’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতাকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চার বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন, অকৃতকার্যের রেকর্ড
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চলতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন স্কুলগুলোতে ৩৯ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১ হাজার ১৬৪টি স্কুল থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৭ জন। গত বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৯৩৫ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ১৫২ জন, ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৪৭০ জন এবং ২০২১ সালে ১৪ হাজার ৪৬ জন। ফলে চলতি বছর অকৃতকার্যের সংখ্যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অকৃতকার্যের প্রধান কারণ গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়া। পাশাপাশি এবার উত্তরপত্র মনিটরিংয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হয়েছে। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার আমাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক চিত্রটা তুলে আনি। আমরা এবার সে কাজটিই করেছি৷ খাতা খুব গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে যাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি না থাকে।’’
বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ বছর এক বিষয়ে ২৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ২০২৩ সালে ২২ হাজার ৩৯৬ জন, ২০২২ সালে ১৪ হাজার ১৯৪ জন এবং ২০২১ সালে ১২ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।
এ বছর পাসের হারেও বড় ধস নেমেছে। পাসের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। চলতি বছর ছাত্রী পাসের হার ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ছাত্র পাসের হারও ৭১ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন।
ঢাকা/রেজাউল//