জুলাই যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটিতে জাপা নেতারা, বিব্রত এনসিপির তৃণমূল সংগঠকরা
Published: 11th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটিতে পদ পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই নেতা। এর মধ্যে খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব মোল্লা শওকত হোসেন বাবুলকে পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা এবং জেলার সাবেক সদস্য সচিব মাসুদুর রহমানকে প্রচার সেলের সদস্য করা হয়েছে। মোল্লা বাবুল পদযাত্রা বাস্তবায়নে অর্থায়নও করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত এনসিপির অনেক সংগঠক।
খুলনা মহানগরে জাপার রওশন এরশাদপন্থি অংশের আহ্বায়ক ছিলেন গফফার বিশ্বাস, সদস্য সচিব ছিলেন শওকত হোসেন বাবুল। জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মোক্তার হোসেন, সদস্য সচিব ছিলেন মাসুদুর রহমান। পার্টির এই অংশটি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে মাসুদুর রহমান দীর্ঘদিন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। গত ১২ এপ্রিল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা দল থেকে পদত্যাগ করেন।
জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার খুলনায় আসছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কর্মসূচি সফল করতে গত ৭ জুলাই বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে জেলা এনসিপি। কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান মিঠু এবং শওকত হোসেন বাবুলের নাম প্রকাশ করা হয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে মিঠুকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতে দেখা গেছে। বাবুলকে কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
২ জুন রংপুরে এক কর্মসূচিতে জাপা নিষিদ্ধের দাবি জানান এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, জুলাই ঐক্যসহ একাধিক দল জাপাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ দাবি করে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। এ অবস্থায় জাপা নেতাদের বাস্তবায়ন কমিটিতে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান ফয়জুল্লাহ কোনো মন্তব্য করেননি। পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা.
এনসিপির কয়েক সংগঠক জানান, অল্প কয়েকজন এনসিপিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। মূলত তারাই বিতর্কিতদের কমিটিতে আনছে। তাদের কারও নাম প্রকাশ করেননি তারা। এনসিপির খুলনা মহানগর সংগঠক হামীম রাহাত বলেন, বিতর্কিত কাউকে যুক্ত করার বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে।
এনসিপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে শওকত হোসেন বাবুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী দল, জাতীয় পার্টি সহায়তাকারী। এ জন্য পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। এনসিপির কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটিতে আমাকে রাখলেও যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনের শুরু থেকে আমার ভূমিকা ছাত্রদের পক্ষে ছিল। এনসিপির কর্মসূচি ভালো লাগে, তাই সঙ্গে থাকার চেষ্টা করছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প শওকত হ স ন ব ব ল ম স দ র রহম ন এনস প র ক পদয ত র স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
হুসাইন শওকতের দায়িত্বভার কিছুটা কমলো
একাই ছয় দপ্তর সামলানো খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হুসাইন শওকতের দায়িত্বভার কিছুটা কমানো হয়েছে। খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার এবং ওয়াসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে। বুধবার তিনি কাজ শুরু করেন।
হুসাইন শওকত ১০ মাস ধরে মূল দপ্তরের পাশাপাশি খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একসঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে কর্মকর্তাদের ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। এতে দপ্তরগুলোর কাজে ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
এ নিয়ে গত ৪ জুলাই দৈনিক সমকালে ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
তিনি সমকালকে বলেন, ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। হুসাইন শওকতের দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করবেন।