পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন
Published: 11th, July 2025 GMT
প্রতিবছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়। জনসংখ্যা ইস্যুতে সচেতনতা বাড়ানো এবং এ–সংক্রান্ত পরিবেশ ও উন্নয়নের সম্পর্ককে লক্ষ্য রেখে ১৯৯০ সাল থেকে জাতিসংঘ ও সদস্যদেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন করে আসছে।
লক্ষণীয় যে ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই পৃথিবীর জনসংখ্যা পৌঁছে যায় ৫ বিলিয়নে। এ ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ৭ বিলিয়নে আর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে বিশ্বে জনসংখ্যা পৌঁছে যায় ৮ বিলিয়নে (জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২২)।
২.বর্তমানে ২০২৫ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা পৌঁছে গেছে ৮ দশমিক ২৩ বিলিয়নে (জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ২০২৫)। বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, এমনকি মোট প্রজননহার (টিএফআর) ক্রমাগত কমে এলেও বৈশ্বিক জনসংখ্যার আকার বাড়ছে।
বর্তমানে বিশ্বে ১ দশমিক ২৮৩ বিলিয়ন মানুষ ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণ-যুবাগোষ্ঠী, যা ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বাড়তে থাকবে বলে জনসংখ্যা প্রক্ষেপণ নির্দেশ করছে। তখন এ তরুণ-যুবাগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ১ দশমিক ৩৬৪ বিলিয়নে (জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০২৪)।
একই সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে এ তরুণ-যুবাগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার। এটি একটি বড় সংখ্যা, বড় সম্ভাবনা ও বড় চ্যালেঞ্জ বটে। লক্ষ্য করা যায়, এ তরুণ-যুবাগোষ্ঠী প্রায়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বাইরে থেকে যায়।
ফলে এ তরুণ-যুবাগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন-অধিকার ও পছন্দ বাধাগ্রস্ত কিংবা লঙ্ঘিত হয়, এমনকি পরিবার গঠিতও হয় তাঁদের ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ মানব উন্নয়ন কেন্দ্রে রয়েছে পছন্দকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা, যেখানে অধিকার ও পছন্দ ১৯৯৪ সালে মিসরের কায়রোয় অনুষ্ঠিত জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন (আইসিপিডি) থেকে স্বীকৃত।
একজন তরুণ-যুবা সাধারণত জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পছন্দকে বেছে নেন বা সিদ্ধান্তে উপনীত হন, কখন এবং কীভাবে পরিবার গঠন করবেন তা নিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে আবির্ভূত হয় অসমতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে প্রবেশগম্যহীনতা, সমাজে জেন্ডার শ্রেয়বোধ ও অর্থনৈতিক সংকট।
ফলে পরিবার গঠনে তরুণ-যুবাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে, যা হবে ন্যায্য, প্রত্যাশিত ও টেকসই দেশ ও বিশ্ব নির্মাণে।
৩.এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৫-এর মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’। এ প্রতিপাদ্য অনুযায়ী বিশ্বের মতো আমাদের বাংলাদেশের তরুণ-যুব জনগোষ্ঠীও একটি বড় সংখ্যা, বড় চ্যালেঞ্জ ও বড় সম্ভাবনার।
এ জনগোষ্ঠীর সবার সুযোগ গ্রহণে সমান প্রবেশগম্যতা ও সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রতিবন্ধকতা দূর করা—প্রান্তিক বা পিছিয়ে থাকা মানুষদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা। কেননা, জনসংখ্যা ও উন্নয়ন পটভূমিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো সব ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৬ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয় ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ আর ১৮ বছরের আগে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশের। বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিশোরী মাতৃত্ব (২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, বিডিএইচএস ২০২২)।
প্রতি ১০০০ জন বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে কিশোরী প্রজননের হার ৯২, যা দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম সর্বাধিক। আর পরিবার পরিকল্পনায় অপূর্ণ চাহিদা ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হলেও ১৫ থেকে ১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের ক্ষেত্রে তা ১২ শতাংশ (বিডিএইচএস ২০২২)।
২০৩০ সালের মধ্যে এ অপূর্ণ চাহিদা শূন্যে নিয়ে যাওয়ার আইসিপিডি+ ২৫ প্রতিশ্রুতি ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।
৪.দেশে বর্তমানে জন্মনিরোধপদ্ধতি ব্যবহারের হার ৬৪ শতাংশ (বিডিএইচএস ২০২২)। ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ক্ষেত্রে তা অপেক্ষাকৃত বেশ কম (৫৩.৯ শতাংশ), যা মোট পদ্ধতি ব্যবহার কিংবা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বাল্যবিবাহ ও কিশোরী মাতৃত্ব বা অপরিকল্পিত গর্ভধারণ মেয়েদের অধিকার লঙ্ঘন করে। জেন্ডার অসমতা তৈরি করে। মাধ্যমিক ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়, হয় বাধাগ্রস্ত। দারিদ্র্য ও নির্ভরতার চক্রে আবদ্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার সাক্ষরতার হারে পুরুষের (৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ) তুলনায় নারীরা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ পিছিয়ে আছে (বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩)।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিবাহিত কিশোরীদের (১৫-১৯ বছর) মধ্যেই পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের হার সবচেয়ে কম। এখানে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ বিবাহিত তরুণী নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্নে সেবা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না (বিডিএইচএস ২০২২)।
জেন্ডার অসমতার সঙ্গে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা জড়িত। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’ শীর্ষক একটি জাতীয় জরিপের ফলাফল প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১২ মাস কিংবা ১ বছরে কিশোরী-তরুণী (১৫-১৯ বছর বয়সী) সবচেয়ে বেশি (৬২ শতাংশ), অন্তত একবার হলেও শারীরিক, যৌন, মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার হন।
৫.এ রকম বাস্তবতায় ২০৩০ সালের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি (আইসিপিডি) পূরণও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
নানাভাবেই সমাজে জেন্ডার অসমতা তৈরি হয়। উদাহরণ হিসেবে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ শ্রম জরিপ ২০২২-এর তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, আমাদের অগ্রগতি থাকলেও এখনো শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের হারে ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে অর্থাৎ নারীরা বেশ পিছিয়ে রয়েছেন, যেখানে ক্ষমতায়নে দরকার নারীর স্বাধীনতা।
এর কারণ হলো ক্ষমতায়ন শুরু হয় স্বাধীনতার সঙ্গে—পছন্দের স্বাধীনতা, সুযোগের স্বাধীনতা ও ভয় থেকে স্বাধীনতা। ফলে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন চালচিত্রে আমাদের কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি, কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। যেমন প্রথমত, উন্নয়নে পছন্দকে বেছে নেওয়ার অধিকার হলো আত্মমর্যাদার ভিত্তি। তরুণ-যুবারা তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবেন সঠিক পরিকল্পনা অনুসরণে। সিদ্ধান্ত নেবেন যৌক্তিকভাবে কখন তাঁরা বিয়ে করবেন, কখন সন্তান নেবেন, কত বিরতিতে নেবেন কিংবা কখন নেবেন না।
দ্বিতীয়ত, তরুণ-যুবাদের শিক্ষা ও তথ্যে প্রবেশগম্যতা দরকার। শিক্ষা হচ্ছে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন ও অবহিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপায়। যখন তরুণ-যুব জনগোষ্ঠী সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, তখন তারা দেরিতে বিয়ে ও দেরিতে সন্তান নেওয়া, তরুণ-যুব জনগোষ্ঠীর জীবন সম্পর্কে অবহিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ; অধিকতর আয় নিশ্চিত করা ও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের অবসান হবে।
যৌনতা নিয়ে সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ-যুবারা তাঁদের শরীর, অধিকার ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অবহিত হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সম্মান, সম্মতি ও জেন্ডার সমতা স্বাস্থ্যবান পারিবারিক সম্পর্ক তৈরিতে উৎসাহিত করে।
তৃতীয়ত, তরুণ-যুবা জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নির্ভর করে যুববান্ধব স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে জন্মনিরোধপদ্ধতি ব্যবহার ও পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষাহীন তরুণ-যুব জনগোষ্ঠীর মানুষকে কাউন্সেলিং বা পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে।
চতুর্থত, জেন্ডার সমতা ও অংশীদারত্বে দায়িত্ব পালন অত্যাবশ্যক। শিক্ষা, চাকরি ও নেতৃত্বে নারী, তরুণ ও যুবাদের সমতাকেন্দ্রিক প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
একই সঙ্গে যুবা পুরুষেরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন সন্তান লালন-পালন, মানসিক মঙ্গলময় বিশ্ব নির্মাণ আলোচনায়। ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্ব হবে সেটিই, যেখানে তরুণ জনগোষ্ঠী পারস্পরিক পছন্দ, মূল্যবোধের অংশীদারত্ব এবং সহযোগিতার বন্ধনে কাজ করবে।
পঞ্চমত, দরকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে শোভন কর্মসংস্থান, বাসস্থান এবং শিশু-যত্ন একটি তরুণ-যুবা দম্পতিদের পরিবার গঠনে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া তরুণ-যুবাকেন্দ্রিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিও এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
ষষ্ঠত, আশাবাদী বিশ্বে এমন রূপকল্প হতে হবে, যেখানে ঘটবে না কোনো বাল্যবিবাহ বা জোর করে বিয়ে; পছন্দ ও সহযোগিতাবিহীন কোনো তরুণ-যুবা দম্পতিই মা–বাবা হবেন না; বরং প্রতে৵ক তরুণ-যুবা জেন্ডার, আয়, অঞ্চল ইত্যাদির বাইরে বিশ্বকে অনুধাবন করবেন—যেখানে থাকবে ভালোবাসা, স্থায়িত্ব ও সুযোগ।
ফলে কাঙ্ক্ষিত এ রূপকল্প অর্জন করতে গেলে সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় বা কমিউনিটি এবং দেশীয়-বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান—সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে কাজ করতে হবে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে। সেখানে তরুণ-যুবাদের কণ্ঠস্বরকে রাখা হবে কেন্দ্রে; শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় থাকবে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ, ক্ষতিকারক সামাজিক শ্রেয়বোধকে করবে পরিহার এবং যুব নেতৃত্বে ও উদ্ভাবনে করবে যথাযথ বিনিয়োগ।
৬.পরিশেষে বলব, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন পরিক্রমায় জনসংখ্যার পরিমাণগত ও গুণগত—দুটি প্রেক্ষাপটকেই বিবেচনায় রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। পৃথিবীর অন্যতম জনঘনত্বপূর্ণ ছোট এই ভূখণ্ডে দরকার সংখ্যার পাশাপাশি সংখ্যার পেছনে তাকানো; অধিকার ও পছন্দকে অধিকতর অগ্রাধিকার দেওয়া।
প্রত্যাশিত জনসংখ্যার আকারের পাশাপাশি সবার ক্ষেত্রে সমসুযোগ ও সমসম্ভাবনা রয়েছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। এ ক্ষেত্রে সব প্রতিবন্ধকতা পরিহার বা নির্মূল করা, প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-যুবাগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিতে হবে। দরকার বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে (বিশেষ করে তরুণ-যুবাগোষ্ঠীর) উন্নয়নে কেন্দ্রে রেখে মানবসম্পদে বিনিয়োগ ও অধিকার নিশ্চিত করার।
পাশাপাশি তরুণদের কথা শুনতে হবে এবং তাঁদের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে পরিবার গঠন যেন তাঁরা করতে পারেন, সে ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। অধিকতর সমতাপূর্ণ, টেকসই ও যত্নশীল বাংলাদেশ ও বিশ্ব নির্মাণে সরকারি, বেসরকারি ও অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে তরুণ-যুবারা তাঁদের নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবন নির্মাণ ও তাঁদের পরিবার গঠনে ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৫ সফল হোক।
ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইমেইল: [email protected]
*মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তর ণ য ব গ ষ ঠ র এ তর ণ য ব গ ষ ঠ ব শ ব জনস খ য বড় চ য ল ঞ জ পর ব র গঠন দ র পর ব র র স ব ধ নত ন শ চ ত কর তর ণ য ব জ জনগ ষ ঠ র জনস খ য র বছর বয়স ব যবহ র ১৯ বছর প রব শ আম দ র অন য য় করব ন র সমত দশম ক পছন দ গ রহণ দরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে এসএসসিতে শতভাগ পাস ৭৫ স্কুল, ফেল ২ প্রতিষ্ঠান
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি শতভাগ ফেল করেছে দু’টি প্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। এবার শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় এবার ২ হাজার ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭৫টির সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গতবছর শতভাগ পাস করেছিল ৪২২টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি গতবছর শতভাগ ফেলের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এবার দু’টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নাহালখালি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই স্কুল দু’টি থেকে একজন করে ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২৩ সালেও শতভাগ ফেলের তালিকায় ছিল মুলাদি তালতলা স্কুল।
যশোর বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৯৩টি। আর ২০২২ সালে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১৩টি। আর গতবছর শতভাগ অনুত্তীর্ণ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও ২০২৩ সালে যশোর বোর্ডের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যশোরের শার্শা উপজেলার সাড়াতলা নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার তালা উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০২২ সালে এমন প্রতিষ্ঠান ছিল একটি।