জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ঘোষণাপত্রে স্বীকৃতির বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।’

ঘোষণাপত্র পাঠ উপলক্ষে আজ বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে আসেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর তিনি দক্ষিণ প্লাজার সিঁড়িতে মঞ্চের সামনে দাঁড়ান এবং ৫টা ২১ মিনিটে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু করেন। ৫টা ৩৪ মিনিটে ঘোষণাপত্র পাঠ শেষ হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করার সামনে দর্শকসারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের উত্তরাখন্ডে আকস্মিক বন্যা, নিহত ৪

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, আকস্মিক বন্যায় সড়কের ওপর থাকা মানুষজনসহ সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। ভয় ও আতঙ্কে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াচ্ছে।

ভিডিওতে আতঙ্কিত এক ব্যক্তিকে ‘বাপ রে বাপ’ বলতে শোনা যায়। চোখের সামনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে তিনি এমন কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে পাহাড়ি গ্রাম ধরালীতে মেঘ বিস্ফোরণের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এ সময় তীব্র স্রোতের কারণে অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ভেসে গেছে।

গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে ধরালী একটি যাত্রাবিরতি স্থান। সেখানে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং থাকার জায়গা রয়েছে। বন্যায় সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, তীব্র স্রোতের সঙ্গে কাদামাটি ভরা পানি পাহাড় বেয়ে নদীর তীরে থাকা বাড়িঘরের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীর ধরালী এলাকায় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্য দলগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরাখন্ডের মাতলি এলাকায় অবস্থানরত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) ১২তম ব্যাটালিয়নের ১৬ সদস্যের একটি দল ধরালী পৌঁছেছে। একই ব্যাটালিয়নের ইউনিটকে দ্রুত ওই এলাকায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীর তীর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি শিশু ও গবাদিপশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ