সরকারি কর্মচারীদের বেহাত হওয়া কিছু মেইল থেকে সরকারি সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থারই অন্যদের কাছে প্রতারণামূলক ই–মেইল পাঠানো হচ্ছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘বিজিডি ই-গভ সার্ট’ এ তথ্য জানিয়ে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।

আজ বুধবার বিজিডি ই-গভ সার্টের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে জানানো হয়। সার্ট জানিয়েছে, এসব মেইলে জেপিইজি (.

jpeg) বা পিএনজি (.png) ফাইলের মধ্যে এমবেড করা ‘ফিশিং লিংক’ ছিল। আবার ডক্স (.docx) ফাইলের মতোও সংযুক্তি ছিল। মেইলে থাকা এসব ফাইল খুললে সেসব মেইলের নিয়ন্ত্রণও বেহাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সার্ট এ ধরনের একটি ‘ফিশিং মেইলের’ ছবি প্রতিবেদনে দেখিয়েছে। সেই মেইলে পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রস্তুত করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি পরিকল্পনার বিষয়ে দিনক্ষণ ঠিক করে মন্ত্রণালয়ে (ছবিতে মন্ত্রণালয়ের নাম উল্লেখ ছিল না) একটি সভা ডাকা হয়েছে। যার সভাপতিত্ব করবেন জ্যেষ্ঠ সচিব। এই মেইলের সঙ্গে একটি ডক ফাইলও সংযুক্ত ছিল।

‘ফিশিং মেইল’ হচ্ছে একধরনের প্রতারণামূলক ই–মেইল। যা সাধারণত পরিচিত ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাঠানো হয়। এসব মেইল পাঠিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ম্যালওয়্যার ইনস্টল করা, অর্থনৈতিক বা সংবেদনশীল বিষয়াদির ক্ষতি করা হয়। এগুলো দেখতে অনেক সময় সত্যিকারের ই–মেইলের মতো মনে হয়। যেখানে ভুক্তভোগীরা সন্দেহ না করেই লিংকে ক্লিক করেন।

এসব মেইল থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সার্ট—অজানা লিংকে ক্লিক করা বা সন্দেহজনক সংযুক্তি ডাউনলোড না করা, ই–মেইল সরকারি ডোমেইন থেকে আসছে মনে হলেও প্রেরককে যাচাই করা, ই–মেইলের মাধ্যমে বা অননুমোদিত ওয়েবসাইটে কখনোই লগইন তথ্য শেয়ার না করা, সব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সক্রিয় করা, কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ফিশিং ই–মেইল সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ ও সচেতন করা, নিজেদের সাইবার ব্যবস্থাপনা সুরক্ষিত রাখা, সন্দেহজনক কিছু মনে হলে সার্টকে জানানো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

তড়িঘড়ির বিপিএলে আবারও বিপদের শঙ্কা

বেটিং এজেন্সিগুলোর হিসাবটা চমকে যাওয়ার মতো। ২০২৫ সালে সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোতে যত সন্দেহজনক (ফ্ল্যাগড) ঘটনা ঘটেছে, তার ৯৬ শতাংশই ঘটেছে এ বছরের শুরুতে হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরে! বাজিকরদের কাছে এতটাই লোভনীয় আর সহজলভ্য হয়ে উঠেছে বিপিএল।

একের পর এক ফিক্সিংয়ের সন্দেহজনক ঘটনায় এ বছরের শুরুতে হওয়া সর্বশেষ বিপিএল দেশে–বিদেশে এতটাই বিতর্কিত হয়ে পড়েছিল যে সেসব ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হয়েছিল বিসিবিকে। গত আগস্টে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও গত ২৮ অক্টোবর বিসিবির কাছে হস্তান্তর করেছে কমিটি। দুটি প্রতিবেদনেই গত বিপিএলের সন্দেহজনক ঘটনার ব্যাপকতার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।

বিসিবি প্রতিবেদনটি তুলে দিয়েছে তাদের দুর্নীতি দমন পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শালের হাতে, যিনি এসব ঘটনা নিয়ে অধিকতর তদন্ত করছেন। কিন্তু তদন্তপ্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ না করে এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আগপর্যন্ত অভিযুক্তদের খেলা থেকে দূরে সরিয়ে না রেখেই আরেকটি বিপিএল আয়োজনে মাঠে নেমে পড়েছে আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদ।

বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তড়িঘড়ির বিপিএলে আবারও বিপদের শঙ্কা