জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে চরফ্যাশনে বিজয় মিছিল, দোয়া মাহফিল
Published: 6th, August 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার পক্ষে চরফ্যাশনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা ও আনন্দমিছিল হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত করা হয়।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার অনুসারী বিএনপি নেতা–কর্মীরা জানান, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জুলাই শহীদদের স্মরণে দুলারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নুরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এবং আহম্মদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর নুরাবাদ ইউনিয়নে শহীদ ওমর ফারুক ও আহম্মদপুর ইউনিয়নের শহীদ হাবীবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
পরে বিকেলে চরফ্যাশন পৌরসভা, আহম্মদপুর, চৌমুহনী বাজার, হাজিরহাট, কলমি, নীলকমল, ঘোষের হাট বাংলাবাজার, আব্দুল্লাহপুর আঞ্জুরহাট বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার পক্ষে নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে দুলারহাট বাজারে অবস্থিত কার্যালয়ের সামনে আসেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল ও আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দুঃসময়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন। আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়াকে বিএনপির অভিভাবক হিসেবে প্রত্যাশা করেন চরফ্যাশন ও মনপুরার মানুষ। ছিদ্দিক উল্লাহর নেতৃত্ব পেলে চরফ্যাশন ও মনপুরা দুর্নীতিমুক্ত থাকবে বলে মনে করেন তৃণমূলের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ দ দ ক উল ল হ ম য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ অনুষ্ঠান শুরু
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন অনুষ্ঠানে এসেছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিকেল পাঁচটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা যায়, অনেকে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার দাবি করছেন। বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।
বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নওশীন নওয়ার বলেন, ‘এক বছর আগে আমাদের ভাই-বোনের রক্তের বিনিময়ে বিজয় এসেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আজকে আমরা যে মন খুলে সব কথা বলতে পারছি, সেটি হাসিনা থাকলে বলতে পারতাম না। ফলে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ এখানে আসা।’
রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছেন মুহাম্মদ ইউসূফ নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যান। তাঁর পালানোর এক বছর হলো আজ। এ জন্য তাঁর ভালো লাগছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো, শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের হত্যার বিচার এখনো হয়নি। তিনি চান যাঁরা অপরাধী, যাঁরা হত্যাকারী, তাঁদের যেন দ্রুত বিচার করা হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যে অনুষ্ঠানগুলো হয়ে আসছে, তার প্রত্যেকটি সফলভাবে, সুন্দরভাবে শেষ করতে তাঁরা সহযোগিতা করেছেন। আজকের অনুষ্ঠানও সুন্দরভাবে শেষ হবে। নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি আছে বলে তিনি মনে করেন না। তবুও সর্বাত্মক প্রস্তুতি র্যাবের আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্য র্যাবের আছে। এই অনুষ্ঠানসহ পুরো ঢাকা শহরে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশ করবে। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে উদ্যাপন করা হবে ফ্যাসিস্টের পলায়নের ক্ষণ। এরপর বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে। বিশেষ ড্রোন ড্রামা হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের সবশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে আর্টসেলের গান।
অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।