সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার পক্ষে চরফ্যাশনে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা ও আনন্দমিছিল হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারত করা হয়।

ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার অনুসারী বিএনপি নেতা–কর্মীরা জানান, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জুলাই শহীদদের স্মরণে দুলারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নুরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এবং আহম্মদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর নুরাবাদ ইউনিয়নে শহীদ ওমর ফারুক ও আহম্মদপুর ইউনিয়নের শহীদ হাবীবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

পরে বিকেলে চরফ্যাশন পৌরসভা, আহম্মদপুর, চৌমুহনী বাজার, হাজিরহাট, কলমি, নীলকমল, ঘোষের হাট বাংলাবাজার, আব্দুল্লাহপুর আঞ্জুরহাট বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার পক্ষে নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে দুলারহাট বাজারে অবস্থিত কার্যালয়ের সামনে আসেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল ও আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দুঃসময়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন। আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়াকে বিএনপির অভিভাবক হিসেবে প্রত্যাশা করেন চরফ্যাশন ও মনপুরার মানুষ। ছিদ্দিক উল্লাহর নেতৃত্ব পেলে চরফ্যাশন ও মনপুরা দুর্নীতিমুক্ত থাকবে বলে মনে করেন তৃণমূলের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ দ দ ক উল ল হ ম য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।

চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।

ইয়াও ওয়েন আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।’

রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বদা ‘ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে’। তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, থিংকট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞসহ ছয় শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ইউনান গোল্ডেন অ্যান্ড সিলভার বার্ড আর্ট ট্রুপ এবং কোয়ানঝো আর্ট ট্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, জাতিগত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিকস ও ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সংগীত পরিবেশিত হয়। দর্শকদের কাছে তা খুবই উপভোগ্য ছিল।

অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্‌যাপন এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে এন্টারপ্রাইজ বুথ, পর্যটন প্রচারণা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা কর্নারও ছিল, যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার
  • রূপালী ব্যাংকে তারণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা 
  • উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার
  • আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
  • কলকাতায় পোড়ানো হলো ড. ইউনূসের কুশপুতুল 
  • সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার
  • ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
  • রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস