চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া দুই প্রার্থী ডোপ টেস্টে পজিটিভ
Published: 7th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দুই শিক্ষকের ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ওই দুই শিক্ষকের শরীরে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে তাঁদের নিয়োগ বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই প্রার্থী গতকাল বুধবার চিকিৎসা কেন্দ্রে ডোপ টেস্ট দিয়েছিলেন। তাঁদের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তাঁদের ইউরিনে ক্যানাবাইনয়েডস পাওয়া গেছে। অর্থাৎ গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চলতি ৪ আগস্ট নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের তিন পদের বিপরীতে পরীক্ষা হয়েছিল। এতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তিন ধাপের এই পরীক্ষার পর তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে গত শুক্রবার সিন্ডিকেটে এ নিয়োগের অনুমোদন হয়। নিয়মানুযায়ী নিয়োগ অনুমোদন হওয়ার পর চিকিৎসা সনদ দিয়ে প্রার্থীরা নিয়োগপ্রাপ্ত বিভাগে শিক্ষক পদে যোগদান করতে পারেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পদে যোগদান করতে চিকিৎসা সনদের পাশাপাশি মাদক পরীক্ষার ফলাফলও দিতে হয়। এই নিয়ম সম্প্রতি চালু হয়েছে। এ পরীক্ষায় এ দুই প্রার্থীর ফলাফল পজিটিভ এসেছে। তবে দুই প্রার্থীকে আবারও মাদক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে যুক্ত একাধিক শিক্ষক।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসার বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। পজিটিভ আসা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদে যোগদান করতে পারবেন না। সেই হিসেবে ওই দুই প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হবে।
তবে মাদকসংশ্লিষ্টতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন দুজনই। একজন আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ থেকে মেধাতালিকায় প্রথম হয়েছেন। নিয়োগ পরীক্ষায়ও ১ নম্বর হয়েছেন। তিনি মাদক গ্রহণ করেন না। এটা ভুল।
অভিযোগ অস্বীকার করে অপরজন প্রথম আলোকে বলেন, এটা হতেই পারে না। তিনি জীবনেও মাদক নেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে চ্যালেঞ্জ করে আবারও পরীক্ষা দেবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হারল দ. আফ্রিকা
ফয়সালাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শুরু দেখে কেউ কি ঘুনাক্ষরেও ধারণা করতে পেরেছিল ম্যাচের পরিণতি এমন হবে! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের চোখে-মুখে তখন ছিল উৎকণ্ঠা, বড় রানের শঙ্কা।
অথচ উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সাজানো সংসার! নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে অলআউট তারা। সেটাও মাত্র ৩৭.৫ ওভারে। ৫৬ রানে শেষ ৯ এবং ৩৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ, উত্তেজনা সব নষ্ট করে দেন ব্যাটসম্যানরা।
আরো পড়ুন:
অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড গড়া ম্যাচও বৃষ্টির পেটে, সিরিজ ভারতের
শ্রীলঙ্কা দলে প্রথমবার ডাক পেলেন এসহান, টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন রাজাপাকসে
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ৭ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
আহমরি বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে নাটকীয় ধস নেমেছিল। ইনিংসের মধ্যভাগে ব্যাটসম্যানরা কেউ প্রতিরোধই করতে পারছিলেন না। ওপেনিংয়ে লুহান ড্রি প্রিটোরিয়াস ৩৯ ও ডি কক সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। এরপর তাদের দুই ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারে। অধিনায়ক ব্রিটজি ও পেটার ১৬ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। বাকিরা ক্রিজে এসেছেন আর ফিরেছেন।
১০ ওভারে ১ মেডেনে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ছিলেন তাদের সেরা বোলার। ২টি করে উইকেট নেন পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, স্পিনার সালমান আগা ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান জমা না করতেই ফখর জামান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে এসে বাবর ৫ বাউন্ডারিতে নিজের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন। মনে হচ্ছিল, আজ তার ব্যাট থেকে ভালো একটি ইনিংস আসবে। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়ে তার ইনিংস থেমে যায় ২৭ রানে।
সেখান থেকে সায়েম আইয়ুবের ৭০ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ৭৭ রানের ইনিংস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩২ রানে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
আববার দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। কুইন্টন ডি কক ২৩৯ রান করে হন সিরিজ সেরা। এই সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হলো আফ্রিদির। জয়ে সিরিজ শুরু করে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস পেলেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল