সুন্দরবনের কেয়াখালীর খালের পাশে হরিণ ধরার ৬০০ ফাঁদ উদ্ধার
Published: 8th, August 2025 GMT
সুন্দরবনের কেয়াখালী এলাকা থেকে হরিণ শিকারের জন্য পাতা ৬০০ ফাঁদ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কেয়াখালীর খাল এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করেন বনরক্ষীরা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে চোরাশিকারিরা কেয়াখালীর খালের পাশে বিশেষ কৌশলে এসব ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন। টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে বনের গহিনে ঢোকেন। পরে সেখান থেকে ৬০০টি ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, সারা বছর হাজার হাজার বনজীবী সুন্দরবন থেকে মাছ, কাঁকড়াসহ গোলপাতা ও মধু আহরণ করেন। তাই সুন্দরবনের বিশ্রাম দেওয়ার মাধ্যমে সেখানকার প্রকৃতি-প্রতিবেশসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছর সুন্দরবনে ঢোকা ও সম্পদ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস জেলে ও বাওয়ালির পাশাপাশি পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকে কেউ যাতে কোনো ধরনের সম্পদ আহরণ করতে না পারেন, তাই এই বিশেষ টহলের ব্যবস্থা।
বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, সুন্দরবন ও সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় টহল জোরদার করা হয়েছে। হরিণ শিকারের বিরুদ্ধে তাঁদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশের পর উদ্ধার করা ফাঁদগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দরবন র
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে অস্ত্রসহ আসাবুর বাহিনীর ২ সহযোগী আটক
সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বনদস্যু আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা।
আটককৃতদের সংরক্ষণে থাকা ৩টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. বাদশা গাজী (৪৫) ও মেহেদী হাসান (২৭)। তারা খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সুন্দরবনের দস্যু আসাবুর বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন শরবতখালী এলাকায় গমন করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। তখন কোস্টগার্ড সদস্যরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে ওই এলাকা তল্লাশি করে ৩টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।”
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত আসাবুর বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিল। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/শহিদুল/এস