পৃথিবীর কার্বন ডাই–অক্সাইড ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্য পরিমাপের জন্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মিশন বন্ধ করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ২০২৬ অর্থবছরের জন্য মিশন দুটির জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। মিশন দুটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস ও উদ্ভিদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

নাসার সাবেক বিজ্ঞানী ডেভিড ক্রিস্প বলেন, এসব মিশনের অধীনে ২০১৪ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। পরবর্তী সময় ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে একটি যন্ত্র স্থাপন করে হাবল স্পেস টেলিস্কোপে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের অন্য যেকোনো সিস্টেমের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল ও নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এত দিন। মিশনগুলোর মাধ্যমে আমাজন রেইনফরেস্ট যতটা কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে, তার চেয়ে বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গত করে, এমন তথ্য জানা গেছে।

মিশন দুটির গুরুত্ব তুলে ধরে ডেভিড ক্রিস্প আরও বলেন, নাসার এসব মিশনের বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের আভা শনাক্ত করা যায়। এসব মিশন খরা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এসব মিশনের মাধ্যমে নাসা খাদ্যঘাটতির পূর্বাভাস দিতে পারে। এসব মিশন দ্রুত পরিবর্তনশীল গ্রহ সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে।

নাসার গুরুত্বপূর্ণ দুটি মিশন বন্ধের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিজ্ঞানী জোনাথন ওভারপেক বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অদূরদর্শী। বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমাদের গ্রহের চারপাশে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি।

সূত্র: এবিসি নিউজ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে বরিশালের সড়কে জুমার নামাজ আদায়

‘এই মুহূর্তে দরকার সারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংস্কার’  এই স্লোগানে দ্বাদশ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তারা জুমার নামাজ সড়কে আদায় করেছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারীরা।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, “বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসলে প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। প্রথমে রোগী নিয়ে আসার পর ট্রলি আনতে গেলে দিতে হয় ১০০ টাকা, নার্সদের দিতে হয় ১০০ টাকা, সিস্টারদের দিতে হয় ১০০ টাকা, আয়াকেও দিতে হয় ১০০ টাকা। রাত ১০টার পরে হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না।”

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

“জরুরি বিভাগেরও একই অবস্থা। মাঝে মধ্যে জরুরি বিভাগে ডাক্তার পাওয়া গেলেও তাদের অবহেলায় রোগী ও তাদের স্বজনদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মূলত ইর্ন্টান চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা”, যোগ করেন তিনি।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, “চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রায় প্রতিনিয়ত রোগীদের প্রাণহানী ঘটছে। তেমনি হাসপাতালের স্টাফদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে রোগীর স্বজনদের পকেট খালি হচ্ছে। এ অবস্থা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের। এ কারণে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রতিবাদে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।”

আন্দোলকারীদের দাবি, স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য চলবে না, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, শেবাচিমে জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ