দেশে এখন নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন,“দেশে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক না থাকে, পুলিশ ও প্রশাসন যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে নামার শামিল। সরকার নিরপেক্ষ হলে তবেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে।”

শুক্রবার (৮ আগস্ট) কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

শামীম পাটোয়ারী বলেন, “জাতীয় পার্টির সাথে বর্তমান সরকার অবিচার করছে। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও নির্বাচন কমিশন দফায় দফায় সভা করছে। কিন্তু, নিবন্ধিত এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জাতীয় পার্টিকে সভায় ডাকছে না। নির্বাচন কমিশন সংবিধানের শপথ নিলে অবশ্যই জাতীয় পার্টিকে আলোচনায় ডাকা উচিৎ। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার এটি একটি বড় নিদর্শন হচ্ছে জাতীয় পার্টিকে আলোচনায় ডাকা হচ্ছে না।”

আরো পড়ুন:

তারা বহিষ্কৃত, কাউন্সিল অবৈধ: শামীম পাটোয়ারী

জিএম কাদের বাদ, জাপার কাউন্সিল শনিবার

“দেশের নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। রাষ্ট্রের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এমন বাস্তবতায় মনে হচ্ছে নির্বাচন করার জন্য সরকারের কোন আন্তরিকতা ছিল না। নির্বাচন নিয়ে সরকার নতুন ইনিংস শুরু করেছে, আমরা দেখতে চাই এই ইনিংসে সরকার কেমন ব্যাটিং বোলিং করে। এরপরই আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক মন্তব্য করতে পারব। এখন যদি সরকার সচেষ্ট হয় তাহলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে হয়তো নির্বাচন করা সম্ভব হবে। নির্বাচনের জন্য সরকারের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে সংসদে একমাত্র জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জোরালোভাবে বক্তৃতা করেছেন। গেল বছর ২৫ জুলাই বর্ধিত সভা ডেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আমাদের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল। রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে আমাদের দুজন নেতা শহীদ হয়েছেন। অন্তত ৪ জন কারাবরণ করেছে এবং কয়েকশ নেতাকর্মী মামলায় জর্জরিত হয়ে পালিয়ে বেরিয়েছিল। তখন জাতীয় পার্টি বলেছিল, সরকার যা করছে তা পরিস্কারভাবে গণহত্যা। সে সময়ে গণহত্যা বন্ধের দাবিও জানিয়েছিল জাতীয় পার্টি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আন্দোলনের পরে আমরা দেখলাম আন্দোলনের কৃতিত্ব একটি ক্ষুদ্র অংশ দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

রাজনীতিতে সব দলেরই ভুল ত্রুটি আছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, “২০১৪ সালে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের  নেতৃত্বে ২৭০ জনের বেশি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিল।পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং গোলাম মোহাম্মদ কাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলেন।পরবর্তীতে এরশাদকে সিএমএইচ এ ভর্তি করে কি করা হয়েছিল তা আপনারা সবাই জানেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের প্রায় সব দলই অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনটিও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আগামী দিনে আমরা গণমানুষের প্রত্যাশা এবং তারুণ্যের স্বপ্নকে সামনে রেখে রাজনীতি করব।”

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ৩৭ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যার’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।

শনিবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়। 

এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তালিকায় মোট ৩৭ জন সন্দেহভাজন রয়েছেন। যদিও ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বিবৃতিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির।

তুরস্ক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করার অভিযোগ এনেছে, যা ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘পরিকল্পিতভাবে’ চালিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েল তুরস্কের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের ‘রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ বা পিআর কৌশল’।

তিনি বলেন, “ইসরায়েল অত্যাচারী এরদোগানের সর্বশেষ জনসংযোগ স্টান্টকে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।”

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তুরস্কের পদক্ষেপকে ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে “এটিকে তুর্কি জনগণ এবং তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানের (প্রশংসনীয়) পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে, যারা ন্যায়বিচার, মানবতা এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাদেরকে আমাদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আবদ্ধ করে।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার প্রায় এক বছর পর তুরস্কের এই ঘোষণা এসেছে।

গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় তুরস্কও যোগ দিয়েছে।

গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
  • ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জ