লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক ৩
Published: 9th, August 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তিন যুবককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির হোসেন মেম্বারের ছেলে আহম্মদ আল মারুফ রবিন (৩৪), আহম্মদ আল আরেফিন রিমন (২৯) ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর গ্রামের তোফায়েল আহম্মদের ছেলে এহসান আহম্মেদ (২৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র। অস্ত্র ও ইয়াবাসহ কয়েকজন যুবক পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এই খবরে সেখানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। সেখান থেকে তারা আহম্মদ আল মারুফ রবিন, আহম্মদ আল আরেফিন রিমন ও এহসান আহমেদকে আটক করেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, ম্যাগাজিন, ইয়াবা ও নগদ টাকা জব্দ হয়।
আরো পড়ুন:
কবুতর চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ২
লক্ষ্মীপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো.
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দু মোন্নাফ বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হবে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক লক ষ ম প র প রসভ র আহম ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলবাড়ী সীমান্তে পাচারচক্রের ভারতীয় সদস্যসহ আটক ৬
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তে সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের এক সদস্য ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশি ছয় জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) সীমান্তের রসুলপুর বিওপির একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত হতে প্রায় ১৪০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের মৃত জাহিরুল চৌধুরীর বাড়িতে বাংলাদেশি কয়েকজন ও একজন সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, এমন তথ্য পেয়ে টহলদল বাড়িটি ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন (২৯) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মারগ্রামের বাসিন্দা ও সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য, জলি রাণী (৩০) নওগাঁ, তনুশ্রী রাণী (১০) নওগাঁ, রাজশ্রী রাণী (৩) নওগাঁ, শ্রী বিজন কুমার দাস (৫৫) নওগাঁ, শ্রীমতি লিপি রাণী দাস (৪৭) নওগাঁ।
জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন জানায়, ২০২২ সাল থেকে বৈধ পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানব, নারী ও শিশু পাচারে জড়িত তিনি।
গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রবেশ করে নওগাঁর দুই সন্তানের জননী জলি রাণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন নেপাল। পরে পাচারের উদ্দেশ্যে জলি রাণী, তার দুই সন্তান এবং শ্রী বিজন কুমার দাস ও তার স্ত্রীকে ভারতের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রসুলপুরে নিয়ে যান তিনি।
নেপাল বর্মন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ নভেম্বর বৈধভাবে ভারতে গিয়ে পাচারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। পরদিন ৫ নভেম্বর আবার হিলি আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে ভুক্তভোগীদের ভারতে পাচারের প্রস্তুতিকালেই বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।
ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, নেপাল বর্মন বাংলাদেশের পাচারকারী চক্রের সদস্য মো. ভোলা (বিরামপুর), মো. রোস্তম এবং মো. শহিদুলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানব ও নারী-শিশু পাচার করে আসছিল।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফ ব্যাটালিয়নকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস