দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তে সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের এক সদস্য ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশি ছয় জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) সীমান্তের রসুলপুর বিওপির একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।

বিজিবি জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত হতে প্রায় ১৪০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের মৃত জাহিরুল চৌধুরীর বাড়িতে বাংলাদেশি কয়েকজন ও একজন সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, এমন তথ্য পেয়ে টহলদল বাড়িটি ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন (২৯) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মারগ্রামের বাসিন্দা ও সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য, জলি রাণী (৩০) নওগাঁ, তনুশ্রী রাণী (১০) নওগাঁ, রাজশ্রী রাণী (৩) নওগাঁ, শ্রী বিজন কুমার দাস (৫৫) নওগাঁ, শ্রীমতি লিপি রাণী দাস (৪৭) নওগাঁ।

জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন জানায়, ২০২২ সাল থেকে বৈধ পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানব, নারী ও শিশু পাচারে জড়িত তিনি। 

গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রবেশ করে নওগাঁর দুই সন্তানের জননী জলি রাণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন নেপাল। পরে পাচারের উদ্দেশ্যে জলি রাণী, তার দুই সন্তান এবং শ্রী বিজন কুমার দাস ও তার স্ত্রীকে ভারতের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রসুলপুরে নিয়ে যান তিনি।

নেপাল বর্মন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ নভেম্বর বৈধভাবে ভারতে গিয়ে পাচারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। পরদিন ৫ নভেম্বর আবার হিলি আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে ভুক্তভোগীদের ভারতে পাচারের প্রস্তুতিকালেই বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।

ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, নেপাল বর্মন বাংলাদেশের পাচারকারী চক্রের সদস্য মো.

ভোলা (বিরামপুর), মো. রোস্তম এবং মো. শহিদুলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানব ও নারী-শিশু পাচার করে আসছিল।

তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফ ব্যাটালিয়নকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সিগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মী বন্দরে ছিনতাইকারির কবলে, আটক ১

মুন্সিগঞ্জের এক গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে তার সর্বস্ব লুট করার সময় স্থানীয় জনতা  রানা (২৪) নামে ছিনতাইকারীকে গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। আটককৃত রানা বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এলাকার রতন মিয়ার ছেলে। 

আটককৃতকে বুধবার (৫ নভেম্বর)  দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ২(১০)২৫ নং চুরি  মামলায় ওই ছিনতাইকারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টায় বন্দর থানার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে ওই ছিনতাইকারি আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা।

পুলিশের  তথ্যসূত্রে জানা গেছে,  মুন্সীগঞ্জের এক গণমাধ্যম কর্মীকে বেদম ভাবে মারপিট করে তার সর্বস্ব লুট করার সময় স্থানীয় জনতা চিৎকারের শব্দ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রানা নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। 

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মী সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন না করায় পুলিশ  আটককৃতকে বন্দর থানার দায়েরকৃত মোটরসাইকেল চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের হাজীপুর ও হান্ডুরব্রীজ এলাকায় ছিনতাইকারীদের আনাগোনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

প্রতি রাতে উল্লেখিত স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে চোর সন্দেহে ২ যুবক আটক
  • মুন্সিগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মী বন্দরে ছিনতাইকারির কবলে, আটক ১