গড়পড়তা মানুষ সারা জীবনে কয়টা দেশই আর ভ্রমণ করতে পারেন। যাঁরা ভ্রমণের মধ্যেই জীবনের অর্থ খুঁজে পান, এমন ব্যক্তিরা হয়তো স্বপ্ন দেখেন বিশ্বের সব দেশে পা রাখার। কারও স্বপ্ন পূরণ হয়, কারও হয় না। তবে আলভারো রোহাসের মতো মানুষ পৃথিবীতেই বিরল। এই স্প্যানিশ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে জাতিসংঘ স্বীকৃত সব দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন, সেটাও একবার নয়, দুবার! ভূপর্যটকদের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ‘নোম্যাড ম্যানিয়া’ বলছে, আলভারোসহ বিশ্বের মাত্র চারজন ব্যক্তির ১৯৩ দেশ দুবার সফরের কৃতিত্ব আছে। আলভারো তাঁদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।

২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর কেপ ভার্দে ভ্রমণের মাধ্যমে প্রথমবার বিশ্বের সব দেশ ঘোরার মিশন সম্পন্ন করেন আলভারো রোহাস। ছয় বছরের ব্যবধানে গত ১৯ জুন মাল্টা ভ্রমণের মাধ্যমে একই কীর্তি গড়লেন দ্বিতীয়বারের মতো। লক্ষ্যে পৌঁছে আলভারো সেদিন ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ ক্যাপশনে নিজের অনুভূতি লিখেছেন। বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমি যেন বহু জীবন দেখে ফেলেছি। আর একদম খোলাখুলি বললে, প্রথমবার যখন সব দেশ ঘুরছিলাম, সেটা আদতে নিজের জন্য ছিল না। ছিল অন্যদের জন্য। আমি তখন ছুটছিলাম অহংয়ের পেছনে, স্বীকৃতির পেছনে। কিছু প্রমাণ করার তাগিদে। কিন্তু এবার? একান্তই নিজের জন্য।’

প্রিয় দেশ আফগানিস্তানে আলভারো রোহাস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সব দ শ ভ রমণ আলভ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক

টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।

রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকাপে দল বৃদ্ধি, অলিম্পিকে ২৮ ম্যাচ—আইসিসির সভায় আরও যেসব সিদ্ধান্ত
  • শ্রীলঙ্কা দলে প্রথমবার ডাক পেলেন এসহান, টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন রাজাপাকসে
  • বছরের শেষ সফরে আর্জেন্টিনা দলে চমক, মেসিদের সঙ্গে তিন নতুন মুখ
  • অ্যাপল ওয়াচে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
  • শান্তি পুরস্কার নিয়ে আসছে ফিফা, প্রথমবার কি ডোনাল্ড ট্রাম্প পাবেন
  • ইউআইইউ মার্স রোভার টিমের অনন্য সাফল্য, শুনুন পেছনের গল্প
  • প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক