শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমসাময়িক নানা বিষয়ে ছয়টি বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনে  ‘অধিকার সচেতন’ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এসব অসঙ্গতি তুলে ধরেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বরাদ্দ অর্থ বৈষম্যমূলকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে। বিশেষ একটি ছাত্রগোষ্ঠীকে সুবিধাভোগী করা ও গণঅভ্যুত্থানের গণচরিত্র নষ্ট করে দলীয় ব্যানারে ফুটবল টুর্নামেন্ট ও রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়সারা বক্তব্য দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের সন্দেহ আরো বেড়েছে।

আরো পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের তোপের মুখে শাবিপ্রবি উপাচার্য

‘অ্যান্টিবায়োটিক গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে’

তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ঘোষিত ফি মওকুফের সুবিধা প্রকৃত আহতদের না দিয়ে আন্দোলনের নির্দিষ্ট নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কমিটি থাকা সত্ত্বেও ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। অথচ ভিন্ন নামে ও ব্যানারবিহীনভাবে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল।

তারা আরো বলেন, সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডের পর প্রতিবাদকারী নারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে লাঞ্ছিত করা হলেও অভিযুক্তদের অদৃশ্য প্রভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং হ্যারাসমেন্ট সেল পুনর্গঠনে প্রশাসনের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কোনো সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, হুমকি ও শোকজ নোটিশ দেওয়া হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধানবিরোধী। এছাড়া গণঅভ্যুত্থান ও ২০২২ সালের উপাচার্য-বিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে।

তারা অবিলম্বে এসব ঘটনার জবাবদিহিতা ও সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার, যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সুলতানা আক্তার লুবনা, মেহরাব সাদাত প্রমুখ।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন শ ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ইলেক্ট্রিশিয়ানের

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দেওরগাছ এলাকায় পুরাতন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত এস এম মিজানুল হক (৪০) জেলার বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া মহল্লার এসএম মেহরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে বাসচাপায় ভ্যানচালক নিহত

খুলনায় যানজট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন বলেন, ‘‘দেওরগাছ এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীরা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নেতাদের ওপর হামলায় জাকসুর নিন্দা
  • কেরানীগঞ্জে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
  • হবিগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ইলেক্ট্রিশিয়ানের