শাবিপ্রবিতে ‘অধিকার সচেতন’ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
Published: 9th, August 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমসাময়িক নানা বিষয়ে ছয়টি বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনে ‘অধিকার সচেতন’ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এসব অসঙ্গতি তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বরাদ্দ অর্থ বৈষম্যমূলকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে। বিশেষ একটি ছাত্রগোষ্ঠীকে সুবিধাভোগী করা ও গণঅভ্যুত্থানের গণচরিত্র নষ্ট করে দলীয় ব্যানারে ফুটবল টুর্নামেন্ট ও রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়সারা বক্তব্য দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের সন্দেহ আরো বেড়েছে।
আরো পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোচনা সভা শেষে ছাত্রদলের তোপের মুখে শাবিপ্রবি উপাচার্য
‘অ্যান্টিবায়োটিক গুরুতর হুমকি হয়ে উঠছে’
তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ঘোষিত ফি মওকুফের সুবিধা প্রকৃত আহতদের না দিয়ে আন্দোলনের নির্দিষ্ট নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কমিটি থাকা সত্ত্বেও ইতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। অথচ ভিন্ন নামে ও ব্যানারবিহীনভাবে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল।
তারা আরো বলেন, সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণকাণ্ডের পর প্রতিবাদকারী নারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে লাঞ্ছিত করা হলেও অভিযুক্তদের অদৃশ্য প্রভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং হ্যারাসমেন্ট সেল পুনর্গঠনে প্রশাসনের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের কোনো সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, হুমকি ও শোকজ নোটিশ দেওয়া হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধানবিরোধী। এছাড়া গণঅভ্যুত্থান ও ২০২২ সালের উপাচার্য-বিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে।
তারা অবিলম্বে এসব ঘটনার জবাবদিহিতা ও সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার, যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সুলতানা আক্তার লুবনা, মেহরাব সাদাত প্রমুখ।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন শ ব প রব
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘হামলাকারী’ শ্রমিক লীগ নেতা নাছির গ্রেপ্তার
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৭-৮ জনের একটি দল তাকে আটক করে। রাতেই তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে, নাছিরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত কয়েকজন নাছিরকে গাড়ির ভেতর বসিয়ে চড়-থাপ্পড় মারছেন। ফরিদপুরে এই ভিডিও এখন ফেসবুকে ট্রেন্ডিং, একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট ও শেয়ার হচ্ছে এটি।
ফরিদপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাজনীন আক্তার জানান, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় (জিআর নং ৬০৭/২৪) নাছিরকে আটক দেখানো হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নাছিরের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ আগস্টের পর দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন এবং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/তামিম/এস