নোয়াখালীতে মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ
Published: 9th, August 2025 GMT
নিখোঁজের দুদিন পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে আবদুর রহিম ভান্ডারী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসংলগ্ন একটি ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত আবদুর রহিম ভান্ডারী উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এমদাদ আলী মহুরী বাড়ির বাসিন্দা। তিনি পেশায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহিম ভান্ডারী গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ বেলা তিনটার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমের কার্যালয়ের পাশের এক দোকানি ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ওই দোকানি কার্যালয়ের সাঁটার খুলে দেখেন, গলায় গামছা প্যাঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন রহিম ভান্ডারী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ওসি লিটন দেওয়ান জানান, তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দিয়েছেন। তারা এলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রহ ম ভ ন ড র
এছাড়াও পড়ুন:
চালকের ‘ঘুমে’ নিহত ৭, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের সাত জন প্রাণ হারানোর পর মাইক্রোবাসের চালক আকবর হোসেন (২৪) এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে তিন শিশু সাত জন নিহত হয়। দুর্ঘটনা কবলিতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার উত্তর চৌপল্লী গ্রামে।
দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে তাদের স্বজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘‘চালকের ঘুমের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ চালককে ধরতে পারেনি। আমরা মামলা করব এবং তাকে ছাড়ব না।’’
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
মেরামতের দুই মাসেই ফের বেহাল মানিকপুর সড়ক
চালক আকবর হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম ও শ্বশুর ইস্কান্দার মির্জা জানান, আড়াই বছর পর ওমান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাহার উদ্দিন। তাকে আনতে গিয়ে পরিবারের ১১ সদস্যের সবাই রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৩০ মিটার গভীর খালে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় বাহারের মা, দুই পুত্রবধূ, তিন নাতনি ও শাশুড়ি মারা যায়। প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বাহার, তার বাবা, শ্বশুরসহ চারজন। পরিবার সদস্যরা জানান, বাহারের দুই ভাই রুবেল ও রনি বিদেশ থেকে ফিরলে চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এই দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার উত্তর চৌপল্লী গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, অবহেলাজনিত এই মৃত্যুর দায় থেকে চালককে কোনোভাবেই ছাড়া দেয়া যাবে না।
চালককে আটকে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন। তিনি জানান, চালক আকবর ঘটনার পর থেকে পালিয়ে রয়েছেন। তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/বকুল