নিখোঁজের দুদিন পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে আবদুর রহিম ভান্ডারী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসংলগ্ন একটি ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত আবদুর রহিম ভান্ডারী উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এমদাদ আলী মহুরী বাড়ির বাসিন্দা। তিনি পেশায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহিম ভান্ডারী গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ বেলা তিনটার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমের কার্যালয়ের পাশের এক দোকানি ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ওই দোকানি কার্যালয়ের সাঁটার খুলে দেখেন, গলায় গামছা প্যাঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন রহিম ভান্ডারী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

লিটন দেওয়ান রাত পৌনে নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। গামছার অপর মাথা সম্ভবত ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভালোভাবে আটকানো না হওয়ায় ছিঁড়ে পড়ে গেছে। কক্ষের মেঝের যে স্থানে ওই ব্যক্তির মাথা পড়েছে, মাথার ওই অংশটি কেটে যাওয়ায় মেঝে রক্তাক্ত হয়ে গেছে।

ওসি লিটন দেওয়ান জানান, তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দিয়েছেন। তারা এলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রহ ম ভ ন ড র

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম জানাতে পারেনি। 

নিহত আব্দুল কাদের ওরফে কান কাটা কাদের (৩৫) চৌমুহনী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের গোফরান মিয়ার বাড়ির মো. গোফরানের ছেলে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের চেরাং বাড়ির দরজায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাদেরের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু যুবকের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। তাছাড়া কাদের নিজেই একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিরাজ করছিল। 

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার চেরাং বাড়ির দরজায় তাকে কে বা কারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ সেখানে রেখে যায়। নিহত কাদেরের বিরুদ্ধে মারামারি, মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে। পুলিশের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে কাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান নিহত যুবকের শ্বশুরের বরাত দিয়ে বলেন, “ওই যুবক অপরাধ জগতে জড়িত থাকায় তার পরিবারের সাথে তেমন সম্পর্ক ছিল না। নিহতের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীতে ডোবায় মিলল যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ
  • নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা