তিন মাসের জন‌্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের যোগ দিয়েছেন বিশ্বের প্রথম পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড। ইংলিশ পাওয়ার-হিটিং কোচ জুলিয়ান উড বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাছে অপরিচিত নন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সিলেট সানরাইজার্সের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবারই প্রথম তিনি জাতীয় দলের সাথে কাজ করতে যাচ্ছেন।

এরই মধ‌্যে বাংলাদেশে এসে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তিনি। তবে ক্রিকেটারদের এখন স্কিল ট্রেনিং নেই। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ব‌্যাট-বলের অনুশীলন। উড মাঠে নামবেন তখনই।

তবে আগেভাগে তার ঢাকায় এসে কারণ ভিন্ন। মঙ্গলবার জাতীয় দল ও স্থানীয় কোচদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করেছিল বিসিবির গেম ডেভেলাপমেন্ট বিভাগ। যেখানে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় কোচদের ভেতরে ওয়াহিদুল গনি, সোহেল ইসলাম, হান্নান সরকার, তারেক আজিজ, তালহা জুবায়ের, নাফিস ইকবালসহ আরো অনেকে এই কর্মশালায় যোগ দেন। 

আরো পড়ুন:

ঘাটতির জায়গা স্পষ্ট দেখালেন ক‌্যালি

ক্রিকেটের উন্নতির দিকেই নয়, ভালো ক্রীড়াবিদ হওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ

শুধু পাওয়ার হিটিং নয়, আধিনুক ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়া এবং ব‌্যাটসম‌্যানদের অবারিত শট খেলা, রান পাওয়ার প্রবণতা এবং এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে। ঘন্টাখানেকের লম্বা এই কর্মশালায় ইনপুট দিয়েছেন স্থানীয় কোচরাও।

ক্রিকেটে ইংল‌্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত যেভাবে এগিয়েছে সেভাবে বাকি দলগুলো উন্নতি হয়নি। সামর্থ‌্য থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে গেছে দলগুলো। খেলার গতি প্রকৃতি, পরিস্থিতি, স্ট্রাইক নিয়ে কাজ করা সব কিছু মিলিয়ে বিশাল গ‌্যাপ দেখা যাচ্ছে। সেসব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে কর্মশালায়।  ক্রিকেটের সঙ্গে বেসবলের হিটিং মেথড মিলিয়েছেন উড। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতা পিএসএল, বিগ ব্যাশ, আইপিএল এবং বিপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বিপিএলে প্রথমে সিলেট সানরাইজার্সের এবং পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ হয়েছেন। তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজের ফল পেয়েছেন স্যাম বিলিংস, লিয়াম লিভিংস্টোন, পৃথ্বী শ’র মতো পাওয়ার হিটাররা।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ