চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন
Published: 13th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন নগরের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ‘সর্বস্তরের চিকিৎসকবৃন্দ’ ও ‘ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম, চট্টগ্রাম’–এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইকবাল হোসেন নামের ওই চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ধারণের সময় তাঁর মুখে রক্ত দেখা যায়।
৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ায় পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে.
পুলিশ সূত্র জানায়, ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল হোসেন (৩৮)। ঘটনাটি ঘটেছে নগরের বাকলিয়া এলাকার পুরাতন চারতলা এলাকায়। ওই চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি এ টি এম রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক এরফান চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলেও ইকবাল হোসেন নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁকে কারাগারে নিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনো এ দেশে থেকে গেছে। তারা অন্য একটি দলের নাম দিয়ে এখনো চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন মোড়কে এখনো চাঁদাবাজি চলছে।
আরও পড়ুনসন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসককে মারধর, সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও১৫ ঘণ্টা আগেবিচারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, একজন চিকিৎসকের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজেরা হামলা চালিয়েছে। সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও সিডিএর পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা হয়েছে। এটি চিকিৎসকদের জন্য উদ্বেগজনক। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না আনলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র ব কল য় ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।