সাংবা‌দিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী মো. কবীর হোসেনের বিরু‌দ্ধে অনুসন্ধা‌নে নেমে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)। তারই ধারাবা‌হিতকায় তা‌দের সম্প‌দের হিসাব বিবরণী জমা দি‌তে নো‌টিশ দি‌য়ে‌ছে ক‌মিশন।

বৃহস্প‌তিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবা‌গিচায় প্রধান কার্যাল‌য়ে এক ব্রিফিংয়ে ক‌মিশ‌নের মহাপ‌রিচালক আক্তার হো‌সেন এ তথ‌্য জানান।

দুদক জানায়, মুন্নী সাহার নামে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ১,৮৫,৩২,৪০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১১,৯৬,১৭,৭৪৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৩,৮১,৫০১৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:

জুলাই আন্দোলনের হামলা মামলার আসামি পেলেন ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা

গোবিপ্রবিতে সাংবাদিকতা বিষয়ে সেমিনার

২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্য আয় ৩,২৪,২৩,৫১৩ টাকা এবং ব্যয় ২,৫০,৩০,২৫৬ টাকা। ব্যয় বাদে সঞ্চয় ৭৩,৯৩,২৫৭ টাকা। অর্থাৎ তার সঞ্চয় অপেক্ষা সম্পদের পরিমাণ টাকা বেশি, যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় ব‌লে দুদক জানায়।

অন্যদিকে, মু‌ন্নী সাহার স্বামী মো.

কবীর হোসেনের নামে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ২,১২,০৪,১৩৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৪,৫৫,৮৯,২০৫ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৬,৬৭,৯৩,৩৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্য আয় ৮,১৭,৪২,৭২৫ টাকা এবং ব্যয় ৮৩,৮৬,৪০২ টাকা। ব্যয় বাদে সঞ্চয় ৭,৩৩,৫৬,৩২৩ টাকা। অর্থাৎ তার সঞ্চয় অপেক্ষা সম্পদের পরিমাণ ৯,৩৪,৩৭,০১৭ টাকা বেশি, যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুন্নী সাহা ও তার স্বামী মো. কবীর হোসেনের নামে অর্জিত সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এবং উক্ত সম্পদের আয়ের উৎসের সঠিকতা যাচাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারায় সম্পদ বিবরণী আদেশ জারির সিদ্ধান্ত হ‌য়ে‌ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী সিতারা আলমগীরের ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান মিরাজ এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সিতারা আলমগীরের ৩৩টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৪২২ টাকা এবং ৬ হাজার ১৮৮ ডলার জমা হয়। এর মধ্যে তাঁরা ৪৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪২৩ টাকা এবং ৬ হাজার মার্কিন ডলার উত্তোলন করেছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫০১ টাকা ও ১৮৮ ডলার স্থিতি রয়েছে।

আরও পড়ুনসাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এই দম্পতি এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ উত্তোলন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক বিধিমালা অনুযায়ী এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুনসাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা২৩ অক্টোবর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফিলিপাইনে সাবেক মেয়রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীর পূর্ণ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োজন
  • সুন্দর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
  • বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত, তবে অধ্যাদেশসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ
  • ইউনিয়ন ব্যাংকের লোকসান ২৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা
  • মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তাঁর স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
  • আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ঘোষিত রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে: বিএনপি
  • চ্যালেঞ্জের মধ্যেও কমিশন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত: সিইসি
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের হত্যাযজ্ঞের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় না: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
  • এ রায়ের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ