বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের মনের ভাষা বুজতে হবে। জনগণ কী চায়? জনগণ চায়, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে।’’

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার তেগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘‘নারীদের ঘরে আটকে রেখে সমাজ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। যে নারী ঘরে রান্নাবান্না করত, আজ সে সেনাবাহিনীর পোশাক পড়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। নারী-পুরুষ সমান অধিকার। এই অধিকার এনে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী মহিলার দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া নারীদের দাসত্ব মুক্ত করেছিলেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।’’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোজাদ্দেদ আলী বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আর উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা খন্দকার ও সাংগঠনিক সম্পাদিকা নার্গিস হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের নেত্রী রাশেদা বেগম, আয়েশা বেগম প্রমুখ।

ঢাকা/শিপন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিআরেরও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে, কিন্তু অধিকাংশই ভালো দিক: ইসলামী আন্দোলন

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন প্রশ্নে গণভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, জনগণ যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না চায়, তাহলে ইসলামী আন্দোলন এ পদ্ধতির দাবি আর করবে না।

সৈয়দ ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘পিআরের বিপক্ষে কিছু নাই, তাই বলব না। কেউ ওষুধ যখন সেবন করে, সেখানে লেখা থাকে—এর সাইড এফেক্ট (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া) আছে। পিআরের ব্যাপারেও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে। কিন্তু এর অধিকাংশই ভালো দিক।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলের আগে এক সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন।

মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আজাদ প্রোডাক্টসের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, জনগণ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের উপকারটা কী, তা জেনে গেছে। জরিপে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে।

পিআর সিস্টেম নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আপত্তি থাকার কথা নয় মন্তব্য করে সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন, ৯০ শতাংশ ভোট নাকি তাদের। যদি ৯০ শতাংশ ভোট তাদের হয়, তাহলে তারা আসন পাবে ২৭০টির বেশি। তাতে তাদের সরকার গঠন করতে সমস্যা কোথায়? তারা ঝামেলামুক্ত সরকার গঠন করতে পারবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির বলেন, তিনি (তারেক রহমান) বলেছেন, তাঁরা জাতীয় সরকার গঠন করবেন। সবার সম্মিলিত যে সরকার, সেটাই তো জাতীয় সরকার। পিআর পদ্ধতিতেই সব দলের, মতের ও আদর্শের মানুষজন সংসদে যাবে। সুতরাং বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী তো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে কোনোভাবেই গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ দেশের মুসলমানদের ট্যাক্সের (কর) পয়সা দিয়ে গানের শিক্ষকের প্রয়োজন নেই। সেখানে ইংরেজি শিক্ষক দেন, কম্পিউটার শিক্ষক দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যেকোনো মূল্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক 
  • পিআর পদ্ধতি চাইলে জনগণের কাছে যান: ডা. জাহিদ
  • বরগুনার পূর্বের তিনটি আসন পুনর্বহাল দাবি 
  • ‘৭০ ভাগ জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে’
  • ‘জনগণ এবারও তাদের পিআর বোঝাবে, পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না’
  • রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা জরুরি
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ কয়েকটি দাবিতে রাজধানীতে সাত দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ
  • চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়ায় ‘ইনক্যাপ সিরিমনি’
  • পিআরেরও দু–একটা সাইড এফেক্ট আছে, কিন্তু অধিকাংশই ভালো দিক: ইসলামী আন্দোলন