নেপালের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি তরুণদের বিক্ষোভে প্রাণহানির ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর কোনো নির্দেশ দেয়নি। তিনি এ জন্য বিক্ষোভে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ দায়ী করেছেন।

১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছিল নেপালের সংবিধান দিবস। এ দিন ফেসবুকে নেপালি ভাষায় এক পোস্টে অলি এই দাবি জানান।

জেন-জিদের দুই দিনের বিক্ষোভের মুখে ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন ৭৩ বছর বয়সী অলি। এর পর থেকে এটি ছিল অলির পক্ষ থেকে দেওয়া প্রথম কোনো বিবৃতি। ওই বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ৮ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এর সঙ্গে দুর্নীতি ও দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সংকটের ক্ষোভও যোগ হয়। বিক্ষোভের প্রথম দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়নে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছিলেন। এত দিন অলি সেনাবাহিনীর সুরক্ষায় ছিলেন বলে এএফপিকে জানান অলির দল সিপিএন-ইউএমএলের নেতা অগ্নি খারেল। তিনি জানান, অলি গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়া–ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি ‘ব্যাপক’ হামলা, দুই দেশে অন্তত ৭ জন নিহত

আকাশপথে রাতভর রাশিয়ার ‘ব্যাপক’ হামলায় ইউক্রেনে অন্তত তিনজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি লিখেন, রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ওদেসা, সুমি, ঝাপোরিঝিয়া, পোলতাভাসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে ‘ব্যাপক’ হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী। আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ৬১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ব্যাপক হামলায়’ রুশ বাহিনী ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে। মূলত সামরিক ও শিল্প স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির সামারা অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ বলছে, সেখানে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য একটি তেল পরিশোধন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে তারা।

পাশ্বর্বর্তী সারাতোভ অঞ্চলে অবস্থিত রাশিয়ার আরেকটি তেল পরিশোধন কেন্দ্রে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনরাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ রুখে দেওয়ার দাবি ন্যাটোর১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর কয়েক দফার চেষ্টার পরও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থামেনি।

আরও পড়ুনএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনইউক্রেনে হামলার সময় রোমানিয়ার আকাশসীমায় ঢুকল রাশিয়ার ড্রোন১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ