যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের কেবল বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টই ছিল না, তিনি এ দেশের একজন নিয়মিত করদাতাও ছিলেন। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, তিনি অন্তত এক দশক ধরে বাংলাদেশে নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি আয়ের খাত হিসেবে ‘ব্যবসা/পেশার আয়’ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কী ব্যবসা বা পেশা, সেটার উল্লেখ নেই। কেবল একটি অর্থবছরে মাছের ব্যবসার কথা উল্লেখ রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হলে ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা ভোট দিতে যাবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতার।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিং-এর ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ নিয়ে দ্বিতীয় দফার প্রথম পর্বের জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ইনোভেশন কনসাল্টিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাইয়াত সারোয়ার। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। এতে অংশ নেয় ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার।

জরিপে ফলাফলে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে। ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, তাঁরা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, গত ৬ মাসে চাঁদাবাজি বেড়েছে।

জরিপ অনুযায়ী, পিআর পদ্ধতির বিষয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় নবীন প্রজন্ম অধিক সচেতন। আর এ বিষয়ে তাদের মনোভাব অধিক ইতিবাচক।

জরিপ অনুযায়ী, ভোটের সময় পুলিশ-প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রবীণ প্রজন্মের তুলনায় জেন-জি প্রজন্ম কম ইতিবাচক। অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে স্বল্পশিক্ষিত উত্তরদাতাদের তুলনায় উচ্চশিক্ষিতরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে কম সন্তুষ্ট। চাঁদাবাজি বেড়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁরা পিআর ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি সচেতন ও ইতিবাচক।

জরিপে উঠে এসেছে, সাধারণ উত্তরদাতাদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে কম আগ্রহী। নির্বাচনের সময় নিয়েও তাঁদের দ্বিমত বেশি। চাঁদাবাজি বেড়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক ধারণার হার কম। অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ