৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে গ্রহাণুর আঘাতে কী ঘটেছিল পৃথিবীতে
Published: 22nd, September 2025 GMT
প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করেছিল। সেই গ্রহাণুর কারণে তৈরি হয়েছিল বিশাল খাদ। তবে সেই খাদ থেকেই জীবাণুর বিকাশ ঘটে জীবনের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশাল সেই গ্রহাণু আঘাত হানার পরপরই ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর বিকাশ ঘটেছিল।
সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল পশ্চিম ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর উত্থানের তারিখ নির্ধারণ করতে গবেষণা করছে। বিশাল উল্কাপিণ্ডের আঘাতের ফলে তৈরি গর্ত যেভাবে জীবাণুর বিকাশ ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। গ্রহাণুর আঘাতের পরে সৃষ্ট হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমের ভেতরে মাইক্রোবিয়াল সম্প্রদায় বিকাশ লাভ করেছিল। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো খাদ বা ক্রেটারে জীবনের বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানা গেল। গবেষণার ফলাফল নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এই আবিষ্কার মঙ্গলসহ অন্যান্য গ্রহে গ্রহাণুর প্রভাব বিশ্লেষণে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগের সুযোগ দেবে। গ্রহাণুর আঘাত ধ্বংসাত্মক হলে নতুন জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হেনরিক ড্রেক বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা জিও-ক্রোনোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্কাপিণ্ডের আঘাতের সঙ্গে জীবাণুর কার্যকলাপকে সরাসরি যুক্ত করতে পেরেছি। গ্রহাণুর কারণে সৃষ্ট খাদ জীবনের আবাসস্থল হিসেবে কাজ করতে পারে। আঘাতের পরও প্রাণের বিকাশের সুযোগ থাকে। অত্যাধুনিক আইসোটোপিক বায়োসিগনেচার বিশ্লেষণ ও রেডিওআইসোটোপিক ডেটিং ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে মাইক্রোবিয়াল সালফেট কমে যাওয়ার বিষয়টি সন্ধান করা হয়। প্রায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তখন প্রাণের আবির্ভাব হয়।
লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জ্যাকব গুস্তাফসন বলেন, ‘সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা জীবনের লক্ষণ দেখতে পেয়েছি। এ ছাড়া সেই ঘটনা কখন ঘটেছিল, তা আমরা ঠিক জানতে পারছি। একটি সময়রেখার ধারণা পেয়েছি আমরা।’
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা