প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করেছিল। সেই গ্রহাণুর কারণে তৈরি হয়েছিল বিশাল খাদ। তবে সেই খাদ থেকেই জীবাণুর বিকাশ ঘটে জীবনের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশাল সেই গ্রহাণু আঘাত হানার পরপরই ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর বিকাশ ঘটেছিল।

সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল পশ্চিম ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর উত্থানের তারিখ নির্ধারণ করতে গবেষণা করছে। বিশাল উল্কাপিণ্ডের আঘাতের ফলে তৈরি গর্ত যেভাবে জীবাণুর বিকাশ ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। গ্রহাণুর আঘাতের পরে সৃষ্ট হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমের ভেতরে মাইক্রোবিয়াল সম্প্রদায় বিকাশ লাভ করেছিল। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো খাদ বা ক্রেটারে জীবনের বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানা গেল। গবেষণার ফলাফল নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এই আবিষ্কার মঙ্গলসহ অন্যান্য গ্রহে গ্রহাণুর প্রভাব বিশ্লেষণে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগের সুযোগ দেবে। গ্রহাণুর আঘাত ধ্বংসাত্মক হলে নতুন জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হেনরিক ড্রেক বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা জিও-ক্রোনোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্কাপিণ্ডের আঘাতের সঙ্গে জীবাণুর কার্যকলাপকে সরাসরি যুক্ত করতে পেরেছি। গ্রহাণুর কারণে সৃষ্ট খাদ জীবনের আবাসস্থল হিসেবে কাজ করতে পারে। আঘাতের পরও প্রাণের বিকাশের সুযোগ থাকে। অত্যাধুনিক আইসোটোপিক বায়োসিগনেচার বিশ্লেষণ ও রেডিওআইসোটোপিক ডেটিং ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে মাইক্রোবিয়াল সালফেট কমে যাওয়ার বিষয়টি সন্ধান করা হয়। প্রায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তখন প্রাণের আবির্ভাব হয়।

লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জ্যাকব গুস্তাফসন বলেন, ‘সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা জীবনের লক্ষণ দেখতে পেয়েছি। এ ছাড়া সেই ঘটনা কখন ঘটেছিল, তা আমরা ঠিক জানতে পারছি। একটি সময়রেখার ধারণা পেয়েছি আমরা।’

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহ ণ র জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

অক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ৩২ বছরের মধ্য এ ঘটনার প্রথমবারের মতো ঘটল যে কোনো র‍্যাংকিংয়ে জায়গা পেল না অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ এ প্রথম তিনে জায়গা পায়নি এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬-এ অক্সফোর্ড প্রথম ও কেমব্রিজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) তালিকার শীর্ষেই আছে। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যর গণমাধ্যমে ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে, যা গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান দুটিকেই সেরা তিনের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। ৩২ বছর ধরে করা এই গুড ইউনিভার্সিটি গাউড প্রথমবার এমনটা হলো যে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ প্রথম তিনে নেই।

গত বছর অক্সফোর্ড ছিল তৃতীয় এবং কেমব্রিজ ছিল চতুর্থ। গত বছরই লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস চতুর্থ স্থান প্রথম স্থানে চলে এসেছিল। গত বছর সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ছিল দ্বিতীয়; যার ফলে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ দুটোই একধাপ নিচে নেমে গিয়েছিল।

পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয়তে উঠে আসা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এবার ‘ইউনিভার্সিটি অব দ্য ইয়ার ২০২৬’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইবিতে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু বৈদ্যুতিক শাটলের 
  • অক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা