বেনাপোলে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ২
Published: 23rd, September 2025 GMT
যশোরের বেনাপোলে কার্গো ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি পিস, ওষুধ মোটরসাইকেলের টায়ার এবং বিভিন্ন প্রকার প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানিয়েছে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় পণ্য পাচার রোধে বেনাপোল বিওপি থেকে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়। বেনাপোল বাইপাস সড়ক থেকে মাগুরা কার্গো সার্ভিসের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৭৫৬৬) তল্লাশির জন্য থামানো হয়। ওই ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে, সন্দেহ হলে ট্রাকটি বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। ট্রাক তল্লাশি করে এর ভিতর থেকে ভারতীয় শাড়ি ১ হাজার ৪৭৬টি, থ্রি পিস ২১৫টি, মোটরসাইকেলের টায়ার ২টি, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ১০ হাজার ৬৯৩টি এবং ৭৪ হাজার ৪৫৫টি বিভিন্ন প্রকার প্রসাধন সামগ্রী পাওয়া যায়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এগুলো জব্দ করা হয়। এসব পণ্যের আনুমানিক দাম ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা। কার্গো ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের চালক ও তার সহকারী জানিয়েছেন, বেনাপোলের নামাজ গ্রামের মো.
এ ব্যাপারে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত থেকে কাগজপত্রবিহীন মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল বাইপাস সড়কের ওপর থেকে একটি ট্রাক আটক করা হয়। সেই ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি পিস, ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা/রিটন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ ন ন প রক র
এছাড়াও পড়ুন:
পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাওসিফ, শ্রুতলেখক নেওয়ার অনুমতি পায়নি
পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাওসিফ রহমান ওরফে রিহান (১৫)। শ্রুতলেখক নেওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি সে। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
তাওসিফের মা দিলরুবা আফরোজ অভিযোগ করেন, ‘কেন্দ্রের সচিব এ বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সব কাগজপত্র তাঁর কাছে দিয়েছিলেন। সুপারিনটেনডেন্টের কাছে সেগুলো তাঁর জমা দেওয়ার কথা। সবকিছু করার পরও শ্রুতলেখক নেওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষ কেন্দ্রসচিব আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ড থেকে মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষার্থীর শ্রুতলেখকের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। তাঁরা অনুমতি না আনায় শ্রুতলেখককে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে বাগমারা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট এস এম মজিবর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (ভোকেশনাল) নবম শ্রেণির পরীক্ষা আজ শুরু হয়েছে। আজ বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। তাওসিফ বাগমারা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।
তাওসিফের মা দিলরুবা আফরোজ (শিরিন) বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান, তাঁর ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির পরীক্ষার্থী। শিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুসারে ও সুপারিনটেনডেন্টের (প্রধান শিক্ষক) পরামর্শে শ্রুতলেখকের জন্য আবেদন করেন কেন্দ্রসচিবের মাধ্যমে। এ জন্য অষ্টম শ্রেণিতে পড়া একজন শ্রুতলেখক মনোনীত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন। আজ সকালে শ্রুতলেখক বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তামিম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় তাওসিফ। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় শ্রুতলেখক তামিমকে বাধা দেওয়া হয়। জানানো হয়, শ্রুতলেখকের অনুমতি মেলেনি। তখন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে শ্রুতলেখকসহ বেরিয়ে আসে তাওসিফ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগমারা টেকনিক্যাল ভোকেশনাল স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, তাওসিফ রহমান নিশ্চুপ বসে আছে। পরীক্ষার কথা জিজ্ঞাসা করলে সে কাঁদতে থাকে। সে আর কোনো কথা বলতে পারেনি।
তাওসিফের বাবা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘তাওসিফ কাঁদতে কাঁদতে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেছে। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।’