নিউইয়র্কে ডিম ছোড়ার ঘটনার পর আটক যুবলীগ নেতা ছাড়া পেয়েছেন
Published: 24th, September 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ডিম ছোড়ার ঘটনার পর আটক যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। কুইন্স কাউন্টি ক্রিমিনাল কোর্ট তাঁকে মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রাত নয়টায় জামিনে মুক্তি দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং স্লোগান দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন করে অভিবাদন জানিয়েছেন বলে জানান মিজান।
মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতে বিচারকের সামনে আমাকে হাজির করার কথা ছিল রাত ১১টায়। আওয়ামী লীগের শতাধিক কর্মীর ভিড় এড়াতে আদালত আমাকে সাড়ে আটটায় বিচারকের সামনে উপস্থিত করেন। আমার সম্পর্কে আনা অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আমাকে জামিনে মুক্তি দেন এবং আগামী মাসে কোর্টে যাওয়ার জন্য তারিখ দেন। আমার নামে মামলা করা জাহিদ খানকে আমি চিনিও না। আমার ধারণা, এয়ারপোর্টের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে আটক করানো হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধিদলে থাকা আখতার হোসেনের গায়ে ডিম ছোড়েন মিজানুর রহমান। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ স্ট্রিট থেকে পুলিশ মিজানকে আটক করে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক শিবলী সাদিক বলেন, ‘সোমবার রাতে আমরা সারা দিনের সফল বিক্ষোভের পর আনন্দ করছিলাম। তখন বিএনপির এক সমর্থক মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ ডেকে এনে মিজানকে গ্রেপ্তার করায়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ বছর ধরে প্রথম আলো সংরক্ষণ করে চলেছেন চুয়াডাঙ্গার এই দম্পতি
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় থাকেন কামরুল আরেফিন ও সালমা খাতুন। ১ নভেম্বর সকালে তাঁদের বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে ঢুকতেই কাগজের গন্ধ পেলাম। এই কক্ষেই তাঁরা গড়ে তুলেছেন সংগ্রহশালা। যার বেশির ভাগজুড়ে কেবলই প্রথম আলো। দোতলায় আরেকটি কক্ষের আংশিক সারি সারি করে পত্রিকায় সাজানো। প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনা ও ম্যাগাজিনগুলো আলাদাভাবে সাজানো। তাঁদের এই আর্কাইভে প্রতিবেশী ছাড়াও অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী পুরোনো পত্রিকা পড়তে আসেন। কেউ কেউ গবেষণার কাজে সংগ্রহ করেন পুরোনো প্রতিবেদন। দুজনেই হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমাদের এই আর্কাইভ প্রথম আলোকে ভালোবেসে গড়া।’
কামরুল আরেফিন বলেন, ‘প্রথম আলো প্রকাশের আগে আমি ভোরের কাগজ–এর পাঠক ছিলাম। কাগজটির সম্পাদক মতিউর রহমান নতুন ধাঁচের একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের ঘোষণা দিলে তা বাজারে আসার আগেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সালমা বিষয়টি আমার নজরে আনে। নতুন এই পত্রিকা সংগ্রহ করার বিষয়ে দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নিই।’
১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর সকালে ক্রোড়পত্রসহ উদ্বোধনী সংখ্যা হাতে পাওয়ার পর অন্য রকম ভালো লাগায় তাঁদের মন ভরে যায়। কামরুল বলে যান, ‘প্রথম দিনেই দেশবরেণ্য লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ ছিল। পরবর্তী দিনগুলোতেও যার ধারাবাহিকতা দেখতে পাই। এমন ভালো লেগে যায় যে প্রথম আলোকে আর ছাড়তে পারিনি।’
সংগ্রহের একাংশ দেখাচ্ছেন কামরুল আরেফিন