জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইল জেলা শাখা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদ।  

জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আধিপত্যবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। পেয়েছি রাজনৈতিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। জুলাইকে যদি আইনি ভিত্তি না দেওয়া হয়, তাহলে বিপ্লবীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে এবং ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্ত পুনরায় ফিরে আসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা ছিল, তা ছিল ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণ করা। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা জরুরি। নির্বাচনের আগে নিরাপদ ও শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’’

টাঙ্গাইল জেলা জেলা আমীর বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের মতামতের স্বতন্ত্র মূল্যায়ন হবে। ছোট রাজনৈতিক দলগুলো সংসদে প্রবেশের সুযোগ পাবে এবং একটি বহুমাত্রিক, সকলকে অন্তর্ভুক্তকারী সরকার গঠিত হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা কেবল তাদের পক্ষেই সম্ভব, যারা অতীতের কর্তৃত্ববাদী, একদলীয় শাসন ফিরিয়ে আনতে চায়।’’

কিছু রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে তুলে আহসান হাবীব মাসুদ করেন, ‘‘বিগত সরকারের চলমান জুলুম, নির্যাতন ও  জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে এবং গণতন্ত্র ধ্বংসের সহায়ক বলে যে দলগুলোকে মনে করা হয়, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।’’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’’  

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির, সহকারী সেক্রেটারি হুসনি মোবারক বাবুল ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল শহর আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সদর উপজেলার আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদল। 

সমাবেশ শেষে একটা বিক্ষোভ মিছিল শহরের নিরালা মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।  

ঢাকা/কাওছার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ