নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক অঙ্গন সরব হয়ে ওঠে দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে। নির্বাচনী ইশতেহার হলো দেশের মানুষের নিকট আগামী দিনগুলোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি, যে প্রতিশ্রুতি তারা নির্বাচনে জয়ী হলে বাস্তবায়ন করবে। আমাদের দেশের বহুল প্রতীক্ষিত ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ঘিরে গণমানুষের মনে যেমন প্রবল আগ্রহ ও প্রত্যাশা দৃশ্যমান, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের মধ্যেও বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকে আবার এখনই নানা প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন নিজ দলের মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

এসব ব্যক্তিক পর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নিজ দলের ইশতেহারই প্রতিফলিত হয়ে থাকে, যা মূলত কেন্দ্রীয়ভাবে প্রস্তাব করা হয়। সেসব প্রতিশ্রুতি ভোটের রাজনীতিতে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে, সেটা এক জরুরি প্রশ্ন হলেও ইশতেহার জাতীয়ভাবে ইতিবাচক জনমত গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ের ভোটার তাঁর ভোটের ব্যাপারে যে অনেক সচেতন, সেটি আমরা ইতিমধ্যে বেশ বুঝতে পারছি। এটি বোঝা যায় সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি গবেষণার ফলাফল থেকে, যেখানে একটি বিষয়ে সব গবেষণা প্রতিবেদন কাছাকাছি ফলাফল তুলে ধরছে। সেটা হলো দেশের একটা বড় অংশের ভোটার তাঁর ভোটের সিদ্ধান্ত এখনো নেননি। এটা বিগত সময় থেকে কিছুটা ভিন্ন বাস্তবতাকে নির্দেশ করে।

এসব ভোটার নিশ্চিতভাবেই বেশ ভেবেচিন্তে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, যেখানে প্রার্থীর ব্যক্তিক ক্যারিশমাকে মূল্যায়ন করার পাশাপাশি প্রার্থীর রাজনৈতিক দলের ইশতেহারকেও যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। সমাজের সচেতন ভোটার হিসেবে এর অধিকাংশই নতুন ভোটার এবং যাঁদের ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এই তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে হলে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের দিকে গভীর মনোযোগ দিতে হবে। বিগত সময়ের প্রথাগত ইশতেহারের ধারণা থেকে বের হয়ে যাঁরা উন্নয়নমুখী, বাস্তবায়নযোগ্য ও জনস্বার্থভিত্তিক ইশতেহার নিয়ে হাজির হবেন, তাঁদের প্রতিই এই ভোটারদের নজর থাকবে বলে মনে হয়।

এই সময়ে নির্বাচনী ইশতেহার যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে এই তরুণ ও সচেতন ভোটারদের জন্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিগত সময়ের ইশতেহারগুলো যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাই যে বেশির ভাগই অবাস্তবায়িত থেকে যায়, যা আদতে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি।

আমরা এমনটাও দেখি যে ইশতেহার গণমানুষের জীবনমান উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোযোগ না দেওয়ার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ থাকে ‘মেগা প্রজেক্ট’–এর দিকে। আর এমন নানাবিধ মেগা প্রজেক্টের আড়ালে গণমানুষের স্বপ্নও ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। উন্নয়নকে মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার প্রবণতার কারণে আমরা দেখতে পাই, নগরের বুক চিরে গড়ে ওঠা প্রকল্পগুলো ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে উন্নয়নের তথাকথিত প্রতীক, যা আমরা বিগত আওয়ামী আমলে দেখেছি।

সেই উন্নয়ন পরবর্তী সময়ে মুখ থুবড়ে পড়লেও তা তাদের সমর্থকদের মধ্যে থেকে যায় উন্নয়নের এক ‘মেগা বয়ান’ হিসেবে। তাই হয়তো নির্বাচনী ইশতেহারে নানা রকম মুখরোচক উন্নয়নের বয়ান থাকে, যেখানে জনবান্ধব উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষিত থেকে যায়, যা কেবল একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর স্বার্থই রক্ষা করে। এর মধ্য দিয়ে শোষণমূলক একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। তাই এ ধরনের শোষণমূলক ব্যবস্থা তৈরির প্রবণতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বের হয়ে আসতে হবে।

এর বাইরেও নির্বাচনী ইশতেহারগুলো কেন বাস্তবতার মুখ দেখছে না, তার পেছনে বেশি কিছু কারণ চিহ্নিত করা যায়। যেমন প্রথম কারণটি হলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে যথাযথ গবেষণার অভাব। গতানুগতিক নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের চর্চা থেকে বের হয়ে তথ্য–উপাত্তনির্ভর ইশতেহার প্রণয়ন করার উদ্যোগ যদি কোনো রাজনৈতিক দল হাতে নেয়, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল নিশ্চিত করেই নির্বাচনী প্রচারণায় অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবে। কেননা এই ইশতেহার বাস্তবসম্মত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, যা স্থানীয় সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। যার প্রতিফলন অনেক রাজনৈতিক দলে না থাকলেও বিএনপির ইশতেহারের অনেক ক্ষেত্রে আমরা তা দেখতে পাই।

টেকসই পরিকল্পনা না থাকলে উন্নয়নের রূপরেখা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকে না। স্থানীয় সমাজ ও সংস্কৃতির চাহিদা অনুযায়ী একটি উন্নয়ন রূপরেখা প্রণয়ন করার প্রচেষ্টা থাকলে স্থানীয় অধিবাসীদের চাহিদা অনুযায়ী কাজের সুযোগ তৈরি করা যায়। উন্নয়ন প্রচেষ্টায় টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ইশতেহারে থাকা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, যা আমাদের একটি সমন্বিত উন্নয়নের স্বপ্নের অনুপস্থিতিকে নির্দেশ করে।

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও মধ্যে একটি মতৈক্য থাকা উচিত, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। এর কারণে আমাদের উন্নয়নের স্বপ্নও রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত হয়ে পড়ে, যেখানে দেশের স্বার্থে চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার অভাব দৃশমান। যে কারণে আমরা দেখি, একটি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উন্নয়নের স্বপ্নেরও বদল ঘটে। ফলে আমাদের উন্নয়নপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় আর আমরা জাতি হিসেবে আরও পিছিয়ে যাই। দেশের উন্নয়নের মৌলিক কিছু বিষয়ে কোনো দ্বিমত থাকা উচিত নয়।

ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেটি হলো প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়নযোগ্যতা মূল্যায়ন করা। এটি না করার কারণেই অনেক প্রকল্প বিগত সময়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই আমাদের জন্য প্রয়োজন বাস্তবায়নযোগ্য, দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই উন্নয়নের প্রস্তাবনার সঙ্গে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নির্বাচনী ইশতেহারে শিল্পায়নের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করি। এ সময়ে শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য উদ্যোগ ও যথাযথ বাজেট বরাদ্দ থাকে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কেন্দ্র বা হাব হতে পারে না।

গতানুগতিক ইশতেহারের আরেকটি দুর্বলতা হলো এতে বাস্তবায়নের কোনো কর্মকৌশল বা দিকনির্দেশনা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষের মনোজগতে তা খুব আলোড়ন তুলতে পারে না এবং মানুষও সেটা বোঝার কোনো চেষ্টা করে না। তাই ইশতেহার যেন জনগণের মনোজগতের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটাতে পারে এবং ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর প্রভাব কেমন হতে পারে, সেটা তাদের বোঝাতে হবে। পরিষ্কার ধারণা থাকলে জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে পারবে।

বিগত সময়ের মতো কেবল ভোটারদের সমবেদনা পাওয়াই যেন নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান লক্ষ্য না হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উন্নয়নের জন্য ইশতেহার নয়; বরং ভোটের জন্য ইশতেহার প্রণয়নের প্রবণতা দেখে আসছি। তাই এ সংস্কৃতির বদল এখনই প্রয়োজন, যার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোরই, যেখানে তারা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে। তাই যারা গণমুখী, বাস্তবায়নযোগ্য ও টেকসই প্রতিজ্ঞা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আসবে, তারাই এবার তরুণদের মনোযোগ আকর্ষণে এগিয়ে থাকবে।

বুলবুল সিদ্দিকী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

মতামত লেখকের নিজস্ব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই র জন ত ক ইশত হ র র গণম ন ষ র ইশত হ র ন র ইশত হ র ব গত সময় প রকল প আম দ র মন য গ র জন য ত সময় ট কসই সময় র নয়ন প

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন: প্রধান উপদেষ্টা

দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংকট নিরসনে সাত দফা পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন।

তিনি বলেন, “অর্থায়ন কমে আসছে। একমাত্র শান্তিপূর্ণ পথ হচ্ছে তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা।”

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, “গণহত্যা শুরুর আট বছর পরও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেই। আন্তর্জাতিক অর্থায়নও মারাত্মক ঘাটতিতে ভুগছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং সমাধানও সেখানেই নিহিত।”

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ এবং দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “এটাই সংকটের একমাত্র সমাধান। মিয়ানমারের সার্বিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় জিম্মি করে রাখা উচিত নয়।”


তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সুরক্ষা অব্যাহত রাখার তুলনায় প্রত্যাবাসনে অনেক কম সম্পদের প্রয়োজন হবে। রোহিঙ্গারা বরাবরই নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চেয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সাম্প্রতিক সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনের সুযোগ দিতে হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ সংকটের শিকার। আমাদের সামাজিক, পরিবেশগত ও আর্থিকভাবে বিপুল চাপ সহ্য করতে হচ্ছে।”

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মাদক পাচারসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ—যেমন বেকারত্ব ও দারিদ্র্য—বিবেচনায় দেশে রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।”
টেকসই সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাত দফা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেন—
প্রথমত, রাখাইন অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন।
দ্বিতীয়ত, মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ এবং সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু।
তৃতীয়ত, রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড় এবং তা পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
চতুর্থত, রোহিঙ্গাদের রাখাইন সমাজ ও শাসন ব্যবস্থায় স্থায়ী অন্তর্ভুক্তির জন্য আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ।

পঞ্চমত, যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় অর্থদাতাদের পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা।

ষষ্ঠত, জবাবদিহি ও পুনর্বাসনমূলক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

সপ্তম, মাদক অর্থনীতি ভেঙে দেওয়া এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন করা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্ব আর রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরার জন্য অপেক্ষায় রাখার সামর্থ্য রাখে না।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের সংকট সমাধানে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করতে হবে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন কত হওয়া উচিত, জানাতে পারবেন নাগরিকেরা
  • রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন: প্রধান উপদেষ্টা