বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তাঁর সমর্থকেরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে সাদা পোশাকে পুলিশের অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

রেজ্জাকুল ইসলাম ওরফে রাজু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর বাড়ি উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, রেজ্জাকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ জুলাই আগস্টে অভ্যুত্থানে হামলার মোট ১৪টি মামলা তদন্তাধীন। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শিবগঞ্জ থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একই দল সাদা পোশাকে রেজ্জাকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য চক ভোলাখাঁ গ্রামে অভিযানে যায়। একপর্যায়ে রেজ্জাকুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাতকড়া পরিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।

এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাতকড়া পরোনোর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেন। তাঁরা আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা জোর করে আসামি রেজ্জাকুল ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, রেজ্জাকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলে স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জ জ ক ল ইসল ম শ বগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। তাদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিাক সড়কের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়া চত্বরে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পাবনায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল চালকের, আহত ৩

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- নরসিংদীর মনোহরদীর দশদোনা এলাকার নুরুল হকের ছেলে অলিউল্লাহ (৪০) এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পাগলীপুর এলাকার মৃত শুক্কুর মাহমুদের ছেলে আবু তালেব (২৭)।

আহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের হাফিজুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী ছালমা বেগম (৩৫) এবং এই দম্পতির চার বছরের শিশু তামিম। তারা সফিপুর থেকে অটোরিকশায় করে কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিাক সড়ক হয়ে নরসিংদী যাচ্ছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুল কবির নকিব জানান, ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা গেছেন। আহত তিনজনকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল মিয়া জানান, ঘোড়াশালের দিক থেকে আসা ইটের শুরকি ভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক নরসিংদীগামী যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ড্রাম ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গেন্ডারিয়ায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের সন্দেহ, ধর্ষণের পর হত্যা
  • নিখোঁজ তরুণের লাশ ধানমন্ডি লেকে
  • গাজীপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত