পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের চেষ্টার দায়ে সোহরাব হোসেন (৬০), জামাল খান (৫৫) ও জসিম প্যাদা (৩০) নামের তিন জেলেকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ। 

এর আগে ভোররাতে বালিয়াতলী এলাকা সংলগ্ন নদী থেকে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার মিটার জাল উদ্ধার করে মৎস্য বিভিাগ। আটককৃত জেলেদের বাড়ি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। 

অভিযানের সময় কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা ও পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অবরোধ সফল করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় কেউ নদী ও সাগরে মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

 সোনারগাঁয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে তিন চোরকে গণধোলাই 

সোনারগাঁয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে তিন চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ওই তিন চোরকে হাতে নাতে আটক করে। গ্রেপ্তারকৃত চোরেরা হলেন, মো. মামুন, স্বপন ও রফিকুল। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার মধ্যরাতে একটি চোরের দল হানা দেয়। চোরেরদল রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই গ্রামে থাকা পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি চুরি করার সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে যায়।

এসময় এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে চোরেরা ট্রান্সফরমারটি নামাতে দেখে তিন চোরকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় বকুল নামে ১ চোর পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আটককৃত ওই তিনচোর হাত পা বেঁধে গণধোলাই দেয়। পরে শনিবার সকালে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী আটককৃত ওই তিন চোরকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।

গ্রেপ্তারকৃত মো. মামুন উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর খাসবাগ গ্রামের মো. কাসেম মিয়ার ছেলে, স্বপন একই গ্রামে আক্তার হোসেনের ছেলে ও রফিকুল ইসলাম নোয়াগাঁওয়ের বিশনন্দী গ্রামের ওসমান ভান্ডারীর ছেলে।

স্থানীয়দের ধারণা, তারা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং এর আগেও এলাকা জুড়ে বিদ্যুতের সরঞ্জাম চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, এলাকাবাসী তিন চোরকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  •  সোনারগাঁয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগে তিন চোরকে গণধোলাই