রাজশাহী বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে আহ্বায়কের বিরোধ
Published: 6th, October 2025 GMT
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে বিরোধে জড়ালেন আহ্বায়ক। জেলার সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের তত্ত্বাবধানে সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া কমিটি আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ স্থগিত করে দিয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলছেন, বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তখন প্রেস ক্লাবে জেলার সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বসেননি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জোবায়েদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
গণভোট ও পিআরের দাবি জাতিকে বিভক্ত করছে: সালাহউদ্দিন
সাংবাদিক মেরেছি, ওনারে মারতে কি আমার সময় লাগে: বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপুরের ইউনিয়ন কমিটিগুলো করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ছয় সদস্যের কমিটি করে দেন। এর প্রধান করা হয়েছিল জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারকে। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে গত ২০ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত উপজেলার নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ি ও জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রত্যেক ইউনিয়নে পাঁচজন করে নির্বাচিত হন। এরপর তারা আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করেন।
এরইমধ্যে এই কমিটির বিরোধী কিছু নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সেগুলো বাতিলের দাবি করেন। এরপর সোমবার (৬ অক্টোবর) জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ তার একক স্বাক্ষরে ওই ছয় ইউনিয়ন কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন। এর চিঠি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যারা ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা তারাই ইউনিয়নগুলোতে নেতৃত্বে এসেছিলেন। কিন্তু জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ নিজের স্বার্থে এসব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনায় কমিটির তত্ত্বাবধানে সম্মেলনের মাধ্যমে আসা ইউনিয়ন কমিটি তিনি স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান লাল্টু, জেলা কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টুসহ ছয় ইউনিয়নের সদ্য স্থগিত করা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নির্দেশনায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিগুলো করেছি। কোনো ধরনের অনিয়ম এক্ষেত্রে হয়নি। আহ্বায়ক কেন কমিটি স্থগিত করেছেন সেটা বলতে পারব না। তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তিনি একক স্বাক্ষরে এটা পারেন না। এ বিষয়টি আমি দ্রুতই কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানাব।’’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দ র গ প র উপজ ল স ঈদ চ ন কম ট কর ছ ন কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
৮৬ বল পর টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মারলেন জাকের
দরকারি সময়েই ব্যাটে রান পেয়েছেন জাকের আলী। আফগানিস্তানের ১৪৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে ২৪ রানের মধ্যে। এরপর শামীম হোসেনের সঙ্গে জাকের আলীর ৫৬ রানের জুটিই বাংলাদেশকে জয়ের পথ থেকে বিচ্যুত হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫ বল আর ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ও এসেছে।
গতকাল শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে জাকের করেছেন ২৫ বলে ৩৩ রান। আর মাঝারি মানের এই ইনিংসেই ছক্কার খরা ঘুচিয়েছেন জাকের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মেরেছেন ৭ ইনিংস আর ৮৬ বল পর।
শারজায় কাল জাকের ছক্কা মেরেছেন দুটি। এর মধ্যে প্রথমটি এসেছে ইনিংসের অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নবীর দ্বিতীয় বলে। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অন বাউন্ডারির ওপর দিয়ে বড় ছক্কা মেরেছেন জাকের। এর আগে তিনি সর্বশেষ ছক্কা মেরেছেন ৩ সেপ্টেম্বর সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। বোলার ছিলেন কাইল ক্লেইন।
এরপর এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে টানা ৭ ইনিংসে কোনো ছক্কা মারতে পারেননি জাকের। শুধু বলের হিসাব করলে টানা ৮৬ বল ছক্কাবিহীন ছিলেন জাকের, যদিও বেশির ভাগ সময়ই ব্যাট করেছেন ইনিংসের দশম ওভারের পরে।
গতকাল ছক্কার দীর্ঘ খরা কাটানোর পর আরেকটি মারতে দেরি হয়নি। পরের ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে মেরেছেন আরেকটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জাকেরের ছক্কা এখন ৪০টি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ষষ্ঠ। ৪০ ছক্কা আছে তানজিদেরও, তবে ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি (৩৮ ইনিংস)। জাকের খেলেছেন ৩৯ ইনিংস।
জাকের–শামীমের জুটিতেই জয়ের পথে থাকে বাংলাদেশ