চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, অযাচিত হস্তক্ষেপসহ শাখা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে শাখা ইসলামী ছাত্রীসংস্থা। একইসঙ্গে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে সাত দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় চাকসু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও ইশতেহার তুলে ধরা হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু: অভিনব সাজে নির্বাচনী প্রচারে এক প্রার্থী

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারের সময় বাড়ল ১০ দিন

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস সানজিদা বলেন, “শাখা ছাত্রদল রবিবার (৫ অক্টোবর) আমাদের ও এক হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। আমরা সেই অভিযোগের প্রতিবাদ জানাতে এবং নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনের ইশতেহার প্রকাশ করতে এখানে এসেছি।”

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শামসুন্নাহার হলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদিয়া আচরণবিধি ভঙ্গ করে বাদামি রঙের লিফলেট ছাপালেও নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করেছে। এছাড়া হলটিতে ছাত্রীসংস্থা সমর্থিত অদম্য শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী ফাইরোজ ফেরদৌসের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী তাসমিনকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থী আয়েশা আক্তারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।

তাদের নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে সাত দফা ইশতেহারগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি হলে নিপীড়নবিরোধী মনিটর সেল গঠন; অনলাইন অভিযোগ প্ল্যাটফর্ম চালু;  দ্রুত জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা; আইনি সহায়তা ও কাউন্সেলিং ডেস্ক স্থাপন; সচেতনতা ও নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি; সহপাঠী সহায়তা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা; বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধিতে নারী হয়রানি ও সাইবার বুলিংকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সংযোজন।

আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত চাকসু নির্বাচন। চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশত হ র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শুরু হয়েছে। সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুই পর্বের এই সংলাপের প্রথম পর্ব শুরু হয়।

সংলাপে অংশ নেওয়া বাকি পাঁচটি দল হলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটি। আচরণবিধি পরিপালন নিয়ে আলোচনা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দলগুলোর সহযোগিতা নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশন একা নয়, সুন্দর–গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধির খসড়া করার সময় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেওয়া অনেকগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের মতামত পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সুন্দর নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রস্তুত নয়, পরিপালনটাই গুরুত্বপূর্ণ।

গত কয়েকটি নির্বাচনের কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রবিমুখ হয়েছে উল্লেখ করেন নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে একটা ভাবনা ছিল যে ভোট হয়তো আগেই দেওয়া হয়ে গেছে।

ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান সিইসি।

বেলা আড়াইটায় বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদসহ আরও ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির কেউ তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করলে ইসি কি ঠেকাতে পারবে, প্রশ্ন এনসিপির
  • সুন্দর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
  • জকসু: প্যানেল ঘোষণাতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন শিবির-ছাত্রশক্তির
  • আচরণবিধি ভাঙায় জরিমানা বাবরের