এক এগারো সরকার ‘অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ ছিল: তারেক রহমান
Published: 7th, October 2025 GMT
এক এগারোর সরকারকে ‘অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত সরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সে সময়কার সরকার সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এবং বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমানের কাছে বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিল-পেছন থেকেই তো শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোতে হয়। তো পেছনের একটা বিষয়, সেটা হচ্ছে, এক এগারোর সরকার বা সেনা সমর্থিত সরকারের সেই সময়টা নিয়ে রাজনীতিতে অনেক আলোচনা আছে। সে সময়টাকে ঘিরে আপনার মূল্যায়নটা কি?
এর উত্তরে তারেক রহমান বলেন, ‘এক বাক্যে বা সংক্ষেপে যদি বলতে হয়, এক এগারোর সরকার তো একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, একটি সরকার ছিল।’
আরও পড়ুনবিএনপি একমত না হলে বেঠিক, এটি তো গণতন্ত্র হলো না: তারেক রহমান১ ঘণ্টা আগেএই প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দেশে রাজনীতি গড়ে উঠেছিল, ভুল-ত্রুটি সবকিছুর ভেতর দিয়ে গণতান্ত্রিক ভিত্তি ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা দেখেছি যে, কিভাবে তারা (১/১১ সরকার) সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। দেশকে একটি অন্ধকার দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে দেখেছি যে, খুব সম্ভবত তাদেরই ভিন্ন আরেকটি রূপ; অন্যভাবে দেখেছি আমরা 'ইন দি নেম অফ ডেমোক্রেসি।’
সাক্ষাৎকারে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিএনপি সামনের দিকে যেতে চায়। দেশকে সামনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন১৭ বছর পর সাক্ষাৎকার: কবে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, কী বললেন তারেক রহমান০৬ অক্টোবর ২০২৫২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই প্রথম কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে শেষ পর্ব আজ প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। গতকাল সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
এই পর্বে তারেক রহমান সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়াল ইলেভেন এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুনখালেদা জিয়া, পরিবারের কেউ নির্বাচনে ভূমিকায় থাকবেন কি না, জানালেন তারেক রহমান০৬ অক্টোবর ২০২৫আরও পড়ুননিজেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মনে করেন না তারেক রহমান০৬ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন র সরক র র জন ত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কৃষকদল নেতার ওপর হামলা
জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ফরিদপুর মহানগর কমিটিতে অন্তর্কোন্দলের জের ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখের (৩৭) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ফরিদ শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী বাজার এলাকায় এ হামলা হয়। আহত ফরিদ শেখ ফরিদপুর পৌরসভার বৈঠাখালী মহল্লার বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে ঘিরে এ হামলা হয়েছে। দুই দিন আগে ফরিদ শেখ মহানগর কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি ফিরোজ শেখের বাবার আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া এবং ফিরোজের দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ফরিদ জানতে চান, ফিরোজ শেখ কীভাবে মহানগর কৃষকদলের প্রচার সম্পাদক হন, যেখানে তাকে এলাকায় কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে দেখা যায়নি। এর দুই দিনের মাথায় হামলা হলো।
আহত ফরিদ শেখের স্ত্রী জুঁই বেগম জানিয়েছেন, ফরিদ শেখ মোটরসাইকেলে করে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ফিরোজ শেখ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা ফরিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে।
ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ বলেছেন, স্থানীয় বিরোধের জেরে এ হামলা ঘটে থাকতে পারে। ফিরোজ শেখ প্রচার সম্পাদক নন, তিনি সহ-ক্রীড়া সম্পাদক।
ফিরোজের বাবার রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হলে ছেলে অন্য দল করতে পারবে না, এমনটা নয়। ফিরোজ আন্দোলন-সংগ্রামে দলের পাশেই ছিলেন।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফিরোজ শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) গণেশ কুমার আগরওয়ালা জানিয়েছেন, ফরিদ শেখের চিকিৎসা চলছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেছেন, ধুলদি এলাকায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/তামিম/রফিক