রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ১৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাম সমর্থিত ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেল।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ শিবিরের

রাবিতে নবীন শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

ইশতেহারে তারা রাকসুর কাঠামো সংস্কার ও ক্ষমতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন, গবেষণায় অগ্রাধিকার, আবাসন সংকট নিরসন, লাইব্রেরি ও সেমিনার কক্ষ সংস্কার, খাদ্যের মান ও পুষ্টি সুরক্ষা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠন, সকল জাতিসত্ত্বার অধিকার নিশ্চিতকরণ, প্রকাশনা সনদ সচলকরণ, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ, পরিবহন খাতের উন্নয়ন, ক্রীড়া খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, পরিবেশ ও মুক্ত পরিসর সংরক্ষণ, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষাসহ গণতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে।

ইশতেহার ঘোষণা শেষে প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, “আমরা ইশতেহারে ফুলঝুরি বা অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। নির্বাচিত হলে আমাদের হাতে থাকবে মাত্র ১ বছর সময়। সেই সময়ের মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে যে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কেবল সেগুলোই ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা আমাদের বিবেচনা করবেন।”

রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। নির্বাচনে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১২টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়াও, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রার্থী ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৫টি পদে মোট ১৭টি হলে ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩০৬ জন। এছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো ৬০০ জন প্রার্থী।

পূনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন প র র থ ইশত হ র

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের একীভূতকরণের চ্যালেঞ্জ 

আমাদের ব্যাংকিং খাত আজ এক নতুন সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি দেশের পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়ে বাজারে জোরালো আলোচনা চলছে। কেউ একে ‘খাত পুনর্গঠনের প্রয়াস’ হিসেবে দেখছেন, অনেকে আবার বলছেন এটি ‘জোরপূর্বক একীকরণ’। প্রশ্ন হলো, এই মার্জার কি সত্যিই ইসলামি ব্যাংকিং খাতকে টেকসই করবে, নাকি এটি হবে ব্যাংকিং খাতে আস্থার একটি নতুন সংকটের সূচনা। 

বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের হাত ধরে। এর মূল লক্ষ্য ছিল শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক লেনদেনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। ক্রমান্বয়ে এই খাত জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষ করে প্রবাসী আমানতকারীদের মধ্যে। বর্তমানে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংক সম্পূর্ণ ইসলামি বা ইসলামি উইন্ডো পরিচালনা করে, যা আমানত ও ঋণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করেছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই খাতের চিত্র বেশ পরিবর্তন হয়েছে। কিছু ব্যাংকের মধ্যে অনিয়ম, বিশেষ গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ বিতরণ, তারল্যসংকট এবং শরিয়াহ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ আদৌ ফল দেবে কি০১ অক্টোবর ২০২৫

যেসব ব্যাংক একসময় ‘নৈতিক ব্যাংকিং’–এর প্রতীক ছিল, তাদের অনেকেই আজ অস্বচ্ছ লেনদেন, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও মূলধন ঘাটতির ফাঁদে আটকা পড়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে, পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একত্র করে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের তারল্যঘাটতি ও দুর্বলতা দূর হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ কি সত্যিই স্থিতিশীলতা আনবে, নাকি ‘সমস্যার একীকরণ’ হবে। 

যদি মার্জারের মাধ্যমে একাধিক ব্যাংককে ‘জোরপূর্বক’ একীভূত করা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এটিকে আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব হিসেবেও দেখতে পারে। অনেক বিদেশি ফান্ড বা ইসলামিক ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান শরিয়াহ কমপ্লায়েন্স না থাকলে সেই ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে না। ফলে একটি ভুল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক খাতকে এমনকি বৈশ্বিক ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলধারার বাইরেও ঠেলে দিতে পারে। 

সব ইসলামি ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য সমান নয়। কেউ তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, আবার কেউ দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ি ঋণ, খেলাপি আমানত ও বিনিয়োগসংকটে জর্জরিত। যদি একটি তুলনামূলক ভালো ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়, তাহলে তার ব্যালান্স শিটেও দুর্বল ব্যাংকের প্রভাব পড়বে।

এতে শেয়ারহোল্ডারদের আস্থা কমবে, আমানতকারীরা অর্থ তুলে নিতে চাইবে এবং বাজারে ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং কমে যাবে। ফলে যে ব্যাংকটিকে দিয়ে পুনরুদ্ধারের আশা করা হচ্ছিল, সেটিই দুর্বল হয়ে পড়বে বলে কারও কারও ধারণা। 

এই মার্জারের প্রক্রিয়া নিয়ে আরও একটি মৌলিক প্রশ্ন উঠেছে। সেটি হচ্ছে এই মার্জারের পেছনে মূল চালিকা শক্তি কী? এটি কি স্থানীয়ভাবে পরিকল্পিত আর্থিক পুনর্গঠন, নাকি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শর্তপূরণের অংশ? সাম্প্রতিক আইএমএফ কর্মসূচিতে ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা ও মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, এই মার্জার প্রক্রিয়া আসলে আইএমএফের শর্তপূরণের একটি প্রতীকী পদক্ষেপ, যেখানে বাস্তব সংস্কারের চেয়ে নীতিগত প্রদর্শনটাই মুখ্য। 

আরও পড়ুনব্যাংক খাতের সংস্কারেও কেন খেলাপি ঋণ কমবে না২৭ আগস্ট ২০২৫

ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মূল ভিত্তি হলো শরিয়াহ নীতি, যেখানে সুদ (রিবা) নিষিদ্ধ এবং মুনাফা ভাগাভাগির ওপর ভিত্তি করে লেনদেন হয়। এই নীতি কাগজে-কলমে অনেক সময় বজায় রাখা গেলেও, বাস্তবে সব ব্যাংক সমানভাবে অনুসরণ করতে পারে না। কিছু ব্যাংকে শরিয়াহ বোর্ড কার্যত নামমাত্র, যাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। 

যদি ইসলামি ব্যাংকগুলোর মার্জার হয়, তবে প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে—কোন শরিয়াহ বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে? কোন ব্যাংকের হিসাবপদ্ধতি প্রাধান্য পাবে? একটির শরিয়াহ বোর্ড অন্যটির নীতিকে অগ্রাহ্য করলে বিরোধ দেখা দেবে। এতে আমানতকারীরা বিভ্রান্ত হবেন, ব্যাংকের ইসলামি পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। শরিয়াহর দৃষ্টিকোণ থেকে এই অস্পষ্টতা ইসলামি ব্যাংকিংয়ের প্রতি আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করতে পারে।

আমরা জানি, ব্যাংক খাতের অন্যতম বড় সমস্যা হলো প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক নিয়োগ, স্বজনপ্রীতি এবং ব্যাংকমালিকদের প্রভাব। পরিচালনা পর্ষদ অনেক সময় ব্যাংককে নিজের ব্যবসার এক্সটেনশন হিসেবে ব্যবহার করে। ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, কিছু ইসলামি ব্যাংকে অস্বাভাবিক পর্যায়ের এক্সপোজার রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে। 

আরও পড়ুনব্যাংক একীভূতকরণ: জোর করে ‘ম্যারেজ’ বা ‘মার্জার’—কোনোটাই ভালো নয়২৮ এপ্রিল ২০২৪

এই পরিস্থিতিতে যদি এসব ব্যাংককে একত্র করা হয়, তবে আর্থিক ঝুঁকি যেমন বাড়বে, তেমনি শাসনব্যবস্থার জবাবদিহিও দুর্বল হবে। দুর্বল পরিচালনা-কাঠামোর ওপর শক্তিশালী ব্যাংক চাপিয়ে দিলে, তা সমাধান নয় বরং আরও জটিল সংকট সৃষ্টি করবে।

আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ও বিনিয়োগকারীদের চোখে আস্থার পরীক্ষায় পড়েছে। একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারি, মূলধন ঘাটতি এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের কারণে বিদেশি ক্রেডিট লাইন স্থগিত বা কমানো হয়েছে। 

যদি মার্জারের মাধ্যমে একাধিক ব্যাংককে ‘জোরপূর্বক’ একীভূত করা হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এটিকে আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব হিসেবেও দেখতে পারে। অনেক বিদেশি ফান্ড বা ইসলামিক ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান শরিয়াহ কমপ্লায়েন্স না থাকলে সেই ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে না। ফলে একটি ভুল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক খাতকে এমনকি বৈশ্বিক ইসলামি অর্থব্যবস্থার মূলধারার বাইরেও ঠেলে দিতে পারে। 

আরও পড়ুনকেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারের আলাপ কোথায়?২৫ জুন ২০২৫

অনেকেরই ধারণা, ব্যাংকের সংখ্যা কমানো নয় বরং গুণগত মান বাড়ানোই এখন জরুরি। প্রথমত, প্রতিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বাধীন পরিচালকের ভূমিকা কার্যকর করতে হবে। স্বাধীন পরিচালকেরা যেন কেবল নামেই না থাকেন, বরং ঋণ অনুমোদন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটির কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। 

দ্বিতীয়ত, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের লাগাম টানতে হবে। একটি ব্যাংকের বোর্ডে যদি এমপি, মন্ত্রী বা প্রশাসনিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরাসরি যুক্ত থাকেন, তাহলে সেটি নৈতিক ঝুঁকি তৈরি করে। আইএমএফ ও এফএটিএফ উভয় সংস্থাই এটি নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

তৃতীয়ত, ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বা ‘ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও’ আন্তর্জাতিক মানে আনতে হবে। অনেক ইসলামি ব্যাংক এখনো ব্যাসেল-৩ মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোরভাবে মূলধন পুনর্গঠন, অনাদায়ি ঋণ পুনর্বিন্যাস এবং স্বচ্ছ অডিট নীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। 

চতুর্থত, ইসলামি ব্যাংকিংয়ের শরিয়াহ বোর্ডগুলোকে কেন্দ্রীভূতভাবে শক্তিশালী করতে হবে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে একটি কেন্দ্রীয় শরিয়াহ কাউন্সিল থাকে, যা সব ইসলামি ব্যাংকের জন্য নীতিমালা দেয়। বাংলাদেশেও এ ধরনের কাঠামো গঠন প্রয়োজন। 

ইসলামি ব্যাংকগুলোর সম্ভাব্য মার্জার এখন অনেকটা ‘ফরমাল রিস্ট্রাকচারিং এক্সারসাইজ’ বা আনুষ্ঠানিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মতো করে এগোচ্ছে। এর পেছনে হয়তো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তাগিদ আছে, হয়তো সরকারের আর্থিক খাত পুনর্গঠনের অঘোষিত পরিকল্পনাও আছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এটি কি সত্যিই টেকসই হবে? এই একীভূত ব্যাংকের নেতৃত্বে কে থাকবেন? 

আমরা জানি, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে ব্যাংক খাত চলে না। প্রকৃত সংস্কার আসে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা থেকে। ইসলামি ব্যাংকগুলো যদি সত্যিকার অর্থে ‘নৈতিক ব্যাংকিং’–এর প্রতীক হতে চায়, তবে তাদের প্রথমে নিজের ভেতরের শুদ্ধি অভিযানে নামতে হবে। তবেই তারা আবার জনগণের আস্থা ফিরে পাবে এবং দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা আনতে পারবে। এটি আবার রাজনীতি ও অর্থনীতি—উভয় ক্ষেত্রেই বৃহত্তর সুশাসনেরও অংশ। 

মামুন রশীদ ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

* মতামত লেখকের নিজস্ব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকসু: ছাত্রশিবিরের ১২ মাসে ৩৩ ইশতেহার
  • পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের একীভূতকরণের চ্যালেঞ্জ