দেশের শীর্ষস্থানীয় রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াসের (বিটিআই) মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে বিটিআইয়ের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি সই হয়। এ চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে, বিটিআইয়ের ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোতে বার্জারের তৈরি উচ্চমানের রং ও কোটিং সমাধান দেওয়া, যাতে স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র। 

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও পরিচালক মো.

মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এফ আর খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বার্জারের চিফ বিজনেস অফিসার এ কে এম সাদেক নেওয়াজ, বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক শাব্বীর আহমদ, করপোরেট সেলসের প্রধান আসাদুর রহমান ও এরিয়া ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবীর এবং বিটিআইয়ের চিফ বিজনেস অফিসার এম. বদরুল ইসলাম, পরিচালক আবু কামাল মোহাম্মদ পাশা, ডিজিএম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, এ এম সনেট হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সহযোগিতার মাধ্যমে বিটিআই তাদের আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পে বার্জারের বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব
পণ্য ব্যবহার করবে, যা ভবনের মান, স্থায়িত্ব ও আকর্ষণ বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সিওও ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী বলেন, ‘বার্জার সব সময় গুণমান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের পণ্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব, যা আধুনিক স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বাড়ায়।’

বিটিআইয়ের এমডি এফ আর খান বলেন, ‘বিটিআই সব সময় এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যা সৌন্দর্য ও মানের সমন্বয়ে অনন্য। বার্জার পেইন্টসের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব আমাদের প্রকল্পগুলোকে আরও আকর্ষণীয় ও টেকসই করে তুলবে এবং গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ট আইয় র প রকল প ব ট আই

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে কিশোরী ধর্ষনের শিকার

‎বন্দরে (১৪) বছরের এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী কিশোরীর দিনমজুর পিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ২ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত দেড়টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের চৈরারবাড়ীস্থ আল আমিনের বসত ঘরে ওই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে , গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাদীর কিশোরী কন্যা সোনারগাঁয়ে খালার বাড়ি থেকে মায়ের বাসা ঢাকার কেরানীগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়। এ সময় ওই কিশোরী মোগড়াপাড়া থেকে বাসে উঠলে উক্ত বাসের হেলপার রানার সাথে পরিচয় হয়। 

এ সময় সে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী এলাকায় নামতে চাইলে বন্দর থানার চৈরারবাড়ী এলাকার আবুল মিয়ার লম্পট ছেলে হেলপার রানা কিশোরীকে বাস থেকে নামতে বাধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একই তারিখ রাত ১১টায় বন্দর থানার চৈরারবাড়ী ২নং বিবাদী আল আমিনের বসত ঘরে নিয়ে আসে। 

পরবর্তীতে শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত দেড়টায় ১নং বিবাদী বাস হেলপার রানা বাদী কিশোরী মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই সময় কিশোরী কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। 

ওই সময় লম্পট আল আমিন বাসার দরজার সামনে দাড়িয়ে পাহাড়া দেয়। পরে ধর্ষক ও তার সহয়তাকারি  চলে গেলে ওই সুযোগে ধর্ষিতা কিশোরী ছাড়া পেয়ে  জনৈক আজাহার মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান,এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে  মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক ও ধর্ষনের সহয়তাকারিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ