বিয়ের পরদিন সকালে বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
Published: 24th, October 2025 GMT
পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। তবে পরদিন সকালেই বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পিসনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রামের একটি আখখেতের বেড়ার বাঁশে মো. জামাল ফকিরের (২৮) ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। বেলা ১১টার দিকে সালথা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আখখেতের বেড়ার যে বাঁশে জামালের লাশ ঝুলে ছিল, সেটির উচ্চতা মাত্র দুই থেকে আড়াই ফুট। এমন জায়গায় ঝুলে আত্মহত্যা করা প্রায় অসম্ভব।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশের নগরকান্দা উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় জামালের। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জামালের লাশ পাওয়া যায়।
জামালের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি, বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামীর লাশ উঠানে পড়ে আছে।’
জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে মহাসড়কে চলন্ত সিএনজিতে ছুরিকাঘাতের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চলন্ত একটি সিএনজিতে ছুরিকাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজারগামী যাত্রী নাজির উদ্দিন শাহ নামের এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিওটি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ১২টা ২০ মিনিটে, মদনপুর এলাকায়। ভিডিওটি পোস্ট করার পরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত একটি সিএনজির পেছনে এক যুবক ঝুলছেন। এ সময় সিএনজির ডান পাশের দরজা খুলে ভেতরে থাকা একজন তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করছেন। কিছুক্ষণ পর বাম পাশের দরজা খুলে আরেকজন একইভাবে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন।
এ সময় সিএনজির পেছনে ঝুলে থাকা যুবক দিক পরিবর্তন করে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি ছিনতাই নাকি অন্য কিছু এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ভিডিওটি আমরা দেখেছি। ঘটনাস্থল শনাক্ত ও সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
ভিডিও ধারণের পর নাজির উদ্দিন মদনপুর অতিক্রম করলে আর সিএনজিটিকে দেখতে পাননি। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন বলেন, ভিডিও দেখে সঠিক স্থান নির্ধারণ কিছুটা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি মদনপুর থেকে লাঙ্গলবন্দের মাঝামাঝি কোথাও ঘটেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিএনজির ভেতরে ও বাইরে থাকা দুই ব্যক্তির হাতেই ছুরি ছিল। তারা ছিনতাইকারী, নাকি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।