অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ!
Published: 11th, November 2025 GMT
কয়েক বছর আগে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ এর আয়োজন করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল। মূলত, চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট দূর করার মানসে এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সারা দেশের ৩ লাখ প্রতিযোগী এতে অংশ নেন। এই আয়োজন থেকে নির্বাচিত হন সাব্বির আহমেদ আরবিন নামে এক তরুণ মডেল। প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হলেও কিছুতেই সিনেমায় ডাক পাচ্ছিলেন না। ‘দ্য স্পাই: অগ্রযাত্রার মহানায়ক’ নামে একটি সিনেমার জন্য ট্যালেন্ট হান্ট করে শিল্পী বাছাইও করেছিলেন অনন্ত।
আরো পড়ুন:
জ্যাকি চ্যানের মৃত্যুর গুঞ্জনে যা জানা গেল
বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা জামান
‘দ্য স্পাই’ সিনেমার নির্মাণ অনিশ্চিত হলেও ট্যালেন্ট হান্টে পাওয়া মেধাবি তরুণদের ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করার খবর ২০১৮ সালে অনন্ত নিজেই দিয়েছিলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সিনেমাটিতে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও পর্দায় নিজেকে খুঁজে পাননি সাব্বির আহমেদ আরবিন। সম্প্রতি এই মডেল অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।
প্রতারণার অভিযোগ এনে আরবিন বলেন, “২০১৫ সালে একটি রিয়েলিটি শো হয়েছিল ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ নামে। সেই শো থেকে আমি হিরো ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত হয়েছিলাম। অনন্ত ভাইয়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল আমি একটি সিনেমা করব। যে সিনেমায় চুক্তি ছিল সেটি আর নির্মাণ হয়নি। দীর্ঘ সময় পর ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার জন্য ডাক পাই। মিটিং করে আমাকে পুলিশ চরিত্রে বাছাই করা হয়। এরপর শুটিং শুরু হয়।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে আরবিন বলেন, “শুটিংয়ে কস্টিউম পরে সারাদিন বসে থাকতাম। কিন্তু আমাদের শুটিং হয় না। চার দিন যাবার পর একটা দৃশ্যর শুট হয়। আরো কিছু দৃশ্য হয় অন্যদিন। সবমিলিয়ে আট দিনের মতো শুটিং করি। সবকিছু শেষ হওয়ার পর সিনেমাটি মুক্তি পেলে কাছের মানুষদের নিয়ে হলে দেখতে যাই। সবাই জেনে যায়, আমি সিনেমাটিতে কাজ করেছি। কিন্তু হলে গিয়ে হতাশ হই। সবার কাছে খুবই লজ্জায় পড়ে যাই। পুরো সিনেমায় নিজেকে কোথাও খুঁজে পাইনি। আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সব কষ্ট বৃথা গেল। নিজেকে পর্দায় না দেখার কষ্ট বোঝানো যাবে না। এক কথায় বললে, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি।”
আরবিনের অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে অনন্ত জলিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি তিনি।
বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন: দ্য ডে’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। সিনেমায় অনন্ত জলিল ও বর্ষা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইরান ও লেবাননের অভিনেতারা। ২০২২ সালে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আরব ন
এছাড়াও পড়ুন:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলা করার দাবি বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সঙ্গে এবারের মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী–সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান বক্তারা এসব দাবি জানান।
কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে বইমেলা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত মানে না। তারা (সরকার) জানিয়েছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো ফোর্স তাদের নেই। সরকারের লাখ লাখ লোক আছে প্রতিরক্ষা দেওয়ার মতো। সেখানে মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন ৪ থেকে ৫ হাজার দেওয়া যাবে না।
প্রকাশক ও লেখক সাঈদ বারী বলেন, এখন সংস্কৃতির নামে ড্রোন শো হয়, কিন্তু বইমেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় সবটাই মন্ত্রণালয় চালায়।
একাডেমি ডিসেম্বরে মেলা করতে চায় বই বাণিজ্য করার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হতে হবে। একই সঙ্গে মেলার স্টল ভাড়া কমাতে হবে।
উদীচীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, মনে হচ্ছে বইমেলা না হলে সরকার বেঁচে যায়। শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। এসব তো হাসিনার নীতি। তিনি বলেন, সরকারকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবি নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান খন্দকার শাহ আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রকাশক দেলওয়ার হাসান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিবর্তনের মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ভাসানী পরিষদের হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন সংস্কৃতিজন। তাঁরা সবাই ২০২৬ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে দশজন প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।