খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে পার্বত্য মন্ত্রণালয়
Published: 11th, November 2025 GMT
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামসুবাজার এলাকায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে গুইমারা সরকারি মডেল হাই স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মোট ৫০ লাখ টাকার এককালীন মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা
‘খাগড়াছড়িবাসী ইউপিডিফের অপরিপক্ক আন্দোলনের মাশুল গুনছে’
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সহায়তার অর্থ তুলে দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।
এর আগে, প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ি সদর ও রামসুবাজার এলাকার নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আরো ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। ফলে দুই ধাপে মোট ১ কোটি টাকার সহায়তা সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ, পরিষদের সদস্য কুমার সাচিং প্রু চৌধুরী, মঞ্জিলা ঝুমা প্রমুখ।
ঢাকা/রূপায়ন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলা করার দাবি বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সঙ্গে এবারের মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী–সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান বক্তারা এসব দাবি জানান।
কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে বইমেলা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত মানে না। তারা (সরকার) জানিয়েছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো ফোর্স তাদের নেই। সরকারের লাখ লাখ লোক আছে প্রতিরক্ষা দেওয়ার মতো। সেখানে মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন ৪ থেকে ৫ হাজার দেওয়া যাবে না।
প্রকাশক ও লেখক সাঈদ বারী বলেন, এখন সংস্কৃতির নামে ড্রোন শো হয়, কিন্তু বইমেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় সবটাই মন্ত্রণালয় চালায়।
একাডেমি ডিসেম্বরে মেলা করতে চায় বই বাণিজ্য করার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হতে হবে। একই সঙ্গে মেলার স্টল ভাড়া কমাতে হবে।
উদীচীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, মনে হচ্ছে বইমেলা না হলে সরকার বেঁচে যায়। শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। এসব তো হাসিনার নীতি। তিনি বলেন, সরকারকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবি নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান খন্দকার শাহ আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রকাশক দেলওয়ার হাসান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিবর্তনের মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ভাসানী পরিষদের হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন সংস্কৃতিজন। তাঁরা সবাই ২০২৬ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে দশজন প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।