নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আজ মঙ্গলবার আবদুস সালামকে খালাস দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবদুস সালামকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সম্পদের বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দেয় দুদক। আইন অনুযায়ী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিবরণী দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু একাধিবার সময় নিয়েও তিনি সম্পদ বিরবণী জমা দেননি। ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি সেই সময়ও শেষ হয়।

পরে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মো.

সামছুল আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবদুস সালামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোহা. নূরুল হুদা। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় দিলেন আদালত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ স স ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবা বড়ি, প্রায় আড়াই লাখ টাকাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাও রয়েছেন। গত শনিবার তিনি গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার নাম মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪১)। তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ‘খ’ সার্কেলের পটিয়ার মুজাফ্ফরাবাদ কার্যালয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানার মো. আবদুল মতিনের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, পটিয়া থানা এলাকায় টহলরত র‍্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, কক্সবাজার থেকে দুটি মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি চট্টগ্রামে নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার খরনা এলাকায় কাদের এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। তবে তল্লাশিচৌকি দেখে পালানোর চেষ্টাকালে প্রথমে একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়। পরে অন্য মাইক্রোবাসটিও আটক করা হয়।

অভিযানে আবদুল্লাহ আল মামুনের প্যান্টের পকেট থেকে ১০টি ইয়াবা বড়ি; ১টি ওয়াকিটকি সেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত কোটি ও ক্যাপ এবং গাড়ির ভেতর থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছে অপর মাইক্রোবাসটির চালকের আসনের নিচ থেকে।

গ্রেপ্তার অপর চারজন হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. ফিরোজের ছেলে মো. মাঈনুদ্দীন (৩০), চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার পূর্ব হাবিবুরপাড়ার মো. রাশেদুল আলম (৩৮) ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৪১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)। এ ছাড়া অভিযানের সময় একটি মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে গেছেন।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গত রোববার পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন ছাড়াও পলাতক চালককে মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া দুটি মাইক্রোবাসের মধ্যে একটির মালিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের মালিকানাধীন। পলাতক আসামি সেই মাইক্রোবাসের চালক। গ্রেপ্তার আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় তোজাম্মেল হত্যা: ৩ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
  • মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নিখোঁজ
  • সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তুলে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
  • মিষ্টির শিরায় তেলাপোকা, চট্টগ্রামে নামী দোকানকে জরিমানা