2025-10-08@13:56:03 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«প ঠচক র»:
লেখার পেছনে চিন্তার প্রয়োজন।আর সে চিন্তা তৈরি হয় পাঠ আর আলোচনার ভেতর দিয়ে। ঠিক এমনই এক চিন্তার জায়গা তৈরি হয়েছিল ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ পাঠচক্রে।বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে প্রতিমাসের মতো জুন মাসেও এক বিশেষ পাঠচক্রের আয়োজন হয়।যেখানে একঝাঁক তরুণের সমন্বয়ে মাঠটি জ্ঞানচর্চার মুক্তমঞ্চে পরিণত হয়।উন্মুক্ততা ও বিষয়বস্তুর আলোচনার বৈচিত্র্যের কারণে পাঠচক্রটি বিশেষত্ব লাভ করেছিলো। পাঠচক্রের সূচনা হয় সমসাময়িক বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে আলোচনা দিয়ে।গভীর মনোযোগ দিয়ে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বিশেষত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে নিজস্ব বিশ্লেষণ।বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং তরুণদের করণীয় নিয়েও চলে প্রাণবন্ত সংলাপ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।যেখানে অংশগ্রহণকারী সবাই একে অন্যকে প্রশ্ন করে, মতবিনিময় করে এবং যুক্তির মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাভাবনা উপস্থাপন...
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী নিয়োগ পাওয়ায় তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে পেশাদার মানবসম্পদ উন্নয়নভিত্তিক সংগঠন ‘গ্রীন এইচআর প্রফেশনালস বাংলাদেশ’। সংগঠনটির ৩০৯তম পাঠচক্র শেষে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. সোবহানীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রীন এইচআর প্রফেশনালস বাংলাদেশের সদস্য, উপদেষ্টা এবং কর্পোরেট ও শিক্ষাজগতের বিভিন্ন পেশাজীবী। অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষাবিদ ও গবেষক। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলেতে অবস্থিত সোল প্লাতজে ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস অনুষদের ভিজিটিং প্রফেসর, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপের একজন রিসার্চ ফেলো এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি এমএআরএ এর অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটেরও ভিজিটিং প্রফেসর।তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের নিয়োগ বোর্ডে এক্সটারনাল মেম্বার হিসেবেও দায়িত্ব পালন...
সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার সমকাল জেলা প্রতিনিধির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকার। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি। সভায় আগামী কয়েক মাসের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের নতুন সংযোজন বইপড়া প্রতিযোগিতা নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আরও কয়েকটি স্কুলে কর্মসূচি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সুহৃদরা মতপ্রকাশ করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের আগে আয়োজিত হবে কয়েকটি প্রতিযোগিতা। আলোচনায় অংশ নেন– সুহৃদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আহসান হাবিব, সৌমিত্র শীল চন্দন, পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুর রব সুমন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হৈমন্তি বিজয়। উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ সম্পাদক নিলুফা আক্তার ইভা, কার্যনির্বাহী সদস্য তানজিনা...
‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি অনন্য অসমাপ্ত প্রেমের উপন্যাস, যাকে লেখকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। প্রেমের পরিণতি হবে আনন্দের, একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ হবে এটাই স্বভাবিক। এ উপন্যাসে প্রেম ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত হয়। যেখানে নবশিক্ষিত রুচিশীল সমাজের চিত্র ফুটে উঠেছে। আমি চোখ মেললুম আকাশে,/ জ্বলে উঠল আলো/ পুবে-পশ্চিমে।/ গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম ‘সুন্দর’ সুন্দর হলো সে। পঙ্ক্তিগুলো উচ্চারিত হয় সুহৃদদের কণ্ঠে। পঁচিশে বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৫তম জন্মদিন। দিবসটি সামনে রেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র করেছেন তিতুমীর কলেজের সুহৃদরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি। এখানে প্রেমের প্রকৃতি, আত্ম-অন্বেষণ এবং সম্পর্কের জটিলতা অত্যন্ত শিল্পিত ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথ। সে সময়ের শহুরে অভিজাত ও শিক্ষিত সমাজের সাহিত্যপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি।...
জাপানি একটি কবিতায় পড়েছিলাম, ‘বল দেখি কোথা যাই/ কোথা গেলে শান্তি পাই?’ বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই পঙ্ক্তি দুটি মনে পড়ে। কবি ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক একটি লেখায় লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীতে একটা স্থান ছিল সবচেয়ে করুণ সুন্দর, তা হলো বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আগের ভবনটি। গাছগাছালিতে ঢাকা। ছায়াময়। মায়াময়। গাছের তলা দিয়ে ইটবিছানো বাঁকা পথ বেয়ে এগোলে লাল ইটের একটা দোতলা ভবন। তার আঙিনায় কত পুষ্পবিহঙ্গবৃক্ষ পুরাণ রচিত হয়েছে। দোতলায় লাইব্রেরি। নিচতলায় হলঘর। ডান দিকে ভিডিও লাইব্রেরি ইত্যাদি।’ কেন্দ্রের সামনে গেলে আমারও একই অনুভূতি হয়। হৃদয় শীতল হয়ে আসে, শান্তি বোধ হয়। জানি না, ভবনের সামনের নানা ফুলের গাছ, অকৃত্রিম নান্দনিকতা না বর্তমানে ফুটে থাকা অশোক ফুলের সৌন্দর্যের কারণে এমনটা ঘটে; না বই ভালোবাসি বলে; না আছে অন্য কোনো...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কালজয়ী উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ নিয়ে এক বিশেষ পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ মার্চ বিকেল ৫টায় রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজার একটি রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে ইফতার করেন। এই পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন– সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি সহসভাপতি সম্পা রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ, তাজিউর রহমান তাজ, সুহৃদ সদস্য তপু, সিহাবসহ অন্যান্য সদস্য। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপ্রেমী, শিক্ষার্থী ও সাহিত্য অনুরাগীরাও অংশগ্রহণ করেন। ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ ড. আনোয়ার পাশা রচিত একটি অনন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ, বীরত্ব, যন্ত্রণা ও সংগ্রামের এক জীবন্ত দলিল। এই উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতা, দেশের মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই, নারীর প্রতি পাশবিক নির্যাতন এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া...
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রথম উপন্যাস জহির রায়হানের অসাধারণ সৃষ্টি ‘আরেক ফাল্গুন’। ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করার প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসের মূল চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মুনিম। এ ছাড়া সালমা, রেনু, বানু, নীলা, আসাদ, কবি রসুলসহ আরও অনেক চরিত্রে দৃশ্যপট রচিত হয়েছে। তাদের সবাই শিক্ষার্থী। কালজয়ী এ উপন্যাসে উঠে এসেছে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক ঘটনা ও বীরত্বগাথা। জহির রায়হানের লেখনীতে বাস্তবতা, আবেগ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নিপুণ সমন্বয় দেখা যায়। তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলো জীবন্ত এবং গল্পের প্লট পাঠককে আবেগাপ্লুত করে। জহির রায়হানের লেখা শুধু সাহিত্য নয়, এটি ইতিহাসেরও একটি দলিল, যা বাংলাদেশের সংগ্রাম ও সংস্কৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। ১৩ মার্চ অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুহৃদ পাঠচক্র’। এতে...
গাজীপুরে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিতর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি গাজীপুরের ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে একত্র করে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় বিতর্ক কর্মশালা, প্রতীতি বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংগঠনিক আলোচনা। সুহৃদ সমাবেশের সার্বিক সহযোগিতায় ও প্রতীতি বিতর্ক সংঘের আয়োজনে কর্মশালায় সনাতনী বিতর্ক, সংসদীয় বিতর্ক ও বারোয়ারি বিতর্ক নিয়ে আলোকপাত করেন বিতর্ক প্রশিক্ষকরা। সনাতনী বিতর্কের প্রশিক্ষণ দেন– স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরামের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, সংসদীয় বিতর্কের প্রশিক্ষক সাকিব মাহমুদ ও বারোয়ারি বিতর্কের প্রশিক্ষক স্টেট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা আবু সালেহ মুসা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান, সমকাল পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– গাজীপুর...
পল্লিকবি জসীম উদ্দীন একাধারে কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনিকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক বহুবিধ পরিচয়ে পরিচিত। জসীম উদ্দীনের সাহিত্যের ভাষায় প্রকাশ পায়, ভাষা গ্রামের মানুষের মতো কিন্তু গ্রাম্য নয়। তাঁর লেখায় গ্রামীণ সংস্কৃতির গভীর এবং প্রকৃত রূপ ফুটে উঠেছে। তাঁর কবিতার অলংকার বা উপমা, রূপক গ্রামের মানুষের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একমাত্র জসীম উদ্দীনের কবিতায় পল্লির প্রকৃত চিত্র ও স্বাদ পাওয়া যায়। এ কারণে তাঁকে পল্লিকবি বলা হয়। তাঁর রচিত অধিকাংশ সাহিত্যের পটভূমি গ্রাম ও গ্রামীণ জীবন। পল্লিজীবনের নানা অস্ফুট চিত্রও তাঁর কবিতায় অতি যত্নের সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে। পল্লির মানুষের জীবনাচার তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে। সহজ-সরল মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার অনুভূতি অতি দরদ দিয়ে কবি তাঁর কবিতায় চিত্রিত করেছেন। রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের পাঠচক্রের আলোচনায় এমন কথাই উঠে এসেছে আলোচকদের কথায়। ১ জানুয়ারি...