ঢাকায় হার দিয়ে শুরু করেছিল চট্টগ্রাম কিংস। বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে যাওয়ার আগে টানা তিন ম্যাচে জিতেছে ওই চট্টগ্রাম। সোমবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে তারা। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে আছে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম। 

বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ তোলে চট্টগ্রাম কিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা পাওয়া পারভেজ ইমন (৭) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। তবে পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান ও ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৮ রান যোগ করেন। 

উসমান ফিরে যান ৩৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে আটটি চার ও একটি ছক্কার শট আসে। ক্লার্ক খেলেন ৩৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস। তিনি তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা তোলেন। তাদের দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে মিঠুন ও হায়দার আলী রানটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলেন। মিঠুন ১৯ বলে ২৮ ও হায়দার ১৮ বলে ৪২ রান করেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। 

জবাবে ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট পর্বে আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স। জর্জ মানসে ও জাকের আলী সেখান থেকে ভালো ব্যাটিং করে দলের হারের ব্যবধান ছোট করেন। মানকে ৩৭ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ২৩ বলে ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন জাকের। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই স্লগার। চট্টগ্রামের হয়ে পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ