নতুন বই না পেয়ে সহকারী হিসাব রক্ষককে লাঞ্ছিত
Published: 15th, January 2025 GMT
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক জনি আইচকে তার কার্যালয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী হিসাব রক্ষকের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক জনি আইচ অভিযোগ করে বলেন, “অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডাইরেক্টর পরিচয়ে আব্দুল কাদের রাহীম নামে এক ব্যক্তি আমার কার্যালয়ে আসেন। এসময় তিনি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যবই চান। তখন আমি তাকে জানাই ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যবই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়া হয় না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তালিকা ফরওয়ার্ডিং দিলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পাঠ্যবই বিতরণ করে।”
তিনি আরো বলেন, “এসময় ওই ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে আমার টেবিলে থাকা ল্যাপটপ বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যান।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসাইন অভিযোগ নাকচ দিয়ে বলেন, “সহকারী হিসাব কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। সেখানে স্কুলের ডাইরেক্টর আব্দুর কাদের রাহীমের সাথে সহকারী হিসাব রক্ষকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।”
অপর এক প্রশ্নে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জনি আইচ প্রতি বছর বই দিতে আমাদেরকে হয়রানি করেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহছানুল হক চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমি রাজনীতি বুঝিও না, করিও না: অপু বিশ্বাস
“আমি একজন অভিনয়শিল্পী, অভিনয় আমার মূল কাজ। অভিনয়ের জন্য আমি অনেক কিছু করেছি। আমি রাজনীতি বুঝি না, করিও না। আমার আইনজীবীরা আইনের বিষয়ে আরো যত্নশীল। তারা এ বিষয়ে কথা বলবেন।”—আদালত থেকে বেরিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেন অপু বিশ্বাস।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানার মামলায় আত্মসমর্পণ করে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে আজ জামিন নেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
রবিবার (১৩ জুলাই) আদালতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এসময় তার পরনে লাল বোরকা, মাথায় সাদা হিজাব এবং মুখে কালো মাস্ক দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অপু বিশ্বাস
গোপনে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী রূপালি
রবিবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে উপস্থিত হন অপু বিশ্বাস। এরপর আদালতে এজলাসের পেছনের সারির বেঞ্চে বসেন। শুনানিকালে এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আপু বিশ্বাস। পরে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১০ জুলাই অপু বিশ্বাস সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল বলেন, “গত ২ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান অপু বিশ্বাস। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অপু বিশ্বাস স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।”
রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন অপু বিশ্বাস। মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একজন ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে। এই মামলায় অপু বিশ্বাস ছাড়াও আরো ১৬ জন শিল্পীর নাম রয়েছে এজাহারে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা সরকারি দলের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
একই মামলায় গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। দুইদিনের মাথায় জামিন পান এই অভিনেত্রী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এসময় এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনশ’-চারশ’ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন এনামুল হক। এই মামলায় ২০৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি অপু বিশ্বাস।
মামলায় অপু বিশ্বাস, আশনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত