নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক জনি আইচকে তার কার্যালয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী হিসাব রক্ষকের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক জনি আইচ অভিযোগ করে বলেন, “অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ডাইরেক্টর পরিচয়ে আব্দুল কাদের রাহীম নামে এক ব্যক্তি আমার কার্যালয়ে আসেন। এসময় তিনি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যবই চান। তখন আমি তাকে জানাই ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যবই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়া হয় না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তালিকা ফরওয়ার্ডিং দিলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পাঠ্যবই বিতরণ করে।” 

তিনি আরো বলেন, “এসময় ওই ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে আমার টেবিলে থাকা ল্যাপটপ বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যান।” 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অক্সফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসাইন অভিযোগ নাকচ দিয়ে বলেন, “সহকারী হিসাব কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। সেখানে স্কুলের ডাইরেক্টর আব্দুর কাদের রাহীমের সাথে সহকারী হিসাব রক্ষকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।” 

অপর এক প্রশ্নে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জনি আইচ প্রতি বছর বই দিতে আমাদেরকে হয়রানি করেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না।” 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহছানুল হক চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।” 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত

যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। একই সঙ্গে শিশুটির আইনি সুবিচার পেতে জেলার জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি কথা বলেন।

বুধবার যশোরের চৌগাছায় বাড়ির পাশে শিশুটিকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দাদা। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে (৫৫) আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিশুটির মা হাসপাতালে জানান, তার মেয়েটি বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় শিশুটিকে একা পেয়ে মিজানুর জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে কান্না করছিল। তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। তার চিকিৎসা চলছে। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন সাফায়েত বলেন, শিশুটিকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের ক্ষত স্থানে অপারেশন করা হয়েছে। এখন শিশুটিকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এখন শঙ্কামুক্ত। 

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল ঘটনা জানা যাবে। ঘটনার পরেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় তার সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) যশোরের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা অমিত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং শিশুটির পরিবার আইনি বিচার পেতে  জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনা দেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, শিশুটির সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিশুটির বাবা বিদেশ থাকে। এই পরিবারে কোন পুরুষ সদস্য নেই। তাছাড়া তারা গরীব। ঘটনাটি জানার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে আমরা শিশুটিকে দেখতে যাই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
  • ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা অমিত