Samakal:
2025-05-01@05:11:42 GMT

সন্দেহ গুজবের বিপিএল

Published: 23rd, January 2025 GMT

সন্দেহ গুজবের বিপিএল

চারপাশের সন্দেহ আর গুজবে বিপিএল এখন যেন কানকথার টুর্নামেন্ট! রাজশাহীর ক্রিকেটারদের সম্মানী না পাওয়ার বাস্তবতা দিয়ে নেতিবাচক শিরোনামে আসে এ আসরটি। এরপর সন্দেহ দানা বাঁধে বিভিন্ন ম্যাচে অদ্ভুত সব ওয়াইড দেখে। এরপরই শুরু হয় গুজবের হাওয়া। মিডিয়াকুলে ফিসফিস– দলের ভেতরে কোন্দল, টিম হোটেলের পেমেন্ট ঝামেলায় দুর্বার রাজশাহীর মালিককে নজরদারিতে রাখা, লঙ্কান ক্রিকেটারের ম্যাচ বয়কটের মতো সব ঘটনা। বিষয়গুলো যাচাই করতে গিয়ে বেশির ভাগ ঘটনার সত্যতা মেলেনি। 

বিপিএলে যে কারণে সন্দেহ: ঢাকা ক্যাপিটালের পেসার আলাউদ্দিন বাবু কেন মাঠে নেই– এ নিয়ে নানা গুঞ্জন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আলোচনা থেকে সন্দেহ দানা বাঁধে। সাংবাদিকদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে নানা কথা। বাধ্য হয়েই আলাউদ্দিন বাবুকে ফোন করা। কেন মাঠে আসেননি– জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি ১৫ জনে নেই। আমাকে তাই হোটেলে রেখে গেছে। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।’ ১৫ জনে জায়গা না পেলে অনেক ক্রিকেটারকেই হোটেলে থাকতে হয়। 

আলোচনায় উসমান, ফার্নান্দো: চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খান দারুণ একজন ব্যাটার। চলমান বিপিএলে সেঞ্চুরিও আছে একটি। গতকাল তাঁকে হোটেলে রেখে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল দল। হোটেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল ফার্নান্দো বিনুরাকেও। এ দুই বিদেশি ক্রিকেটারের মাঠে না যাওয়া নিয়ে বিসিবি-সংশ্লিষ্ট সবার মুখে মুখে শোনা গেছে, সম্মানী না দেওয়ায় হোটেলে থেকে গেছেন এ দুই বিদেশি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বিদেশি দুই ক্রিকেটারের মাঠে না যাওয়া নিয়ে নানা কথা শুনছি। সবার উদ্দেশে বলতে চাই, পেমেন্টের কোনো ইস্যু নেই। ফার্নান্দো মাঠে যায়নি, কয়েক দিন আগে তাঁর পরিবারে বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটেছে। আর উসমান ভালো করতে না পারায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আমরা বিদেশিদের ৭০ শতাংশ টাকা দিয়েছি। দেশি কয়েক ক্রিকেটারের পেমেন্ট কম দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যেগুলো বাইরে শোনা যাচ্ছে, তা গুজব।’

বিতর্কে চিড়ে চ্যাপ্টা রাজশাহী: ক্রিকেটারদের সম্মানীর চেক বাউন্স করার প্রতিবাদ ও টাকার দাবিতে প্র্যাকটিস বয়কটের মধ্য দিয়ে আলোচনায় দুর্বার রাজশাহী। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের হস্তক্ষেপে ২৫ শতাংশ সম্মানী নগদ দেওয়া হলে ম্যাচ খেলেন ক্রিকেটাররা। 

গতকাল চট্টগ্রামের আলোচিত ছিল রাজশাহীর হোটেল ভাড়া নিয়ে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কান পাতলেই শোনা গেছে, হোটেল ভাড়ার চেক বাউন্স করায় ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমডি শফিকুর রহমানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। 

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে রাজশাহীর অন্যতম এ মালিক বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, বিপিএলের নিয়মকানুন সম্পর্কে ভালো জানাশোনা নেই। শুধু তো খেলোয়াড়দের টাকা নয়, আরও অনেক খরচ আছে। সেগুলোও তো পরিশোধ করতে হয়। আমরা ধাপে ধাপে তা করছি। হোটেলের সঙ্গে চুক্তি ৫০ শতাংশ টাকা দেব, বাকিটা পরে। সেভাবে পেমেন্ট করা হয়েছে। গাড়ি ভাড়া কত দিয়েছি তা তো ড্রাইভার, হেলপার জানবে না। জানবে কোম্পানি। অথচ এগুলোকে ইস্যু করা হচ্ছে নিউজ বানিয়ে। আমরা খেলোয়াড়দের ২৫ শতাংশ টাকা দিয়েছি, ঢাকায় গিয়ে ২৫ শতাংশ দেব। বল ধার করে অনুশীলন কেন করতে হবে রাজশাহীকে। আগের রাতেই তো বল পৌঁছে গেছে। আর অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টিও নিয়মমাফিক হয়েছে।’
 
বিসিবি এসিইউ বলছে, অতিরঞ্জিত: মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, দেশি-বিদেশি ৪০ জন বিপিএল ক্রিকেটারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহের জালে কেউ কেউ আটকেও গেছেন বলে খবর। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারাও কয়েকজন বোলারকে স্পট করেছেন। সন্দেহজনক ওভারগুলো পর্যালোচনা করে বিসিবিকে নোট দিয়েছেন তারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান এক এসিইউ কর্মকর্তা। 

৪০ ক্রিকেটারের দিকে সন্দেহের তীর– এ প্রশ্ন করা হলে এসিইউপ্রধান মেজর (অব.

) রায়ান আজাদ বলেন, ‘যা কিছু দেখছেন অতিরঞ্জিত। সন্দেহ থেকে যে যার মতো ব্যাখ্যা করছে। আমরা বা আপনাদের সন্দেহ হলেও প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছু বলা যাবে না। কেউ সাহায্য চাইলে আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি। একে ধরছি, ওকে ধরছি, বিষয়টি ঠিক না।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদ
  • আকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
  • ‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে