জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে সানোয়ার হায়দার (৩৬) নামে এক এলজিইডি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সানোয়ার হায়দার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার নয়াটোলা জমিলা লেন এলাকার বাসিন্দা। সরিষাবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্য সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। 

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ভুয়াপুরগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরিষাবাড়ী রেলওয়েস্টেশনে প্রবেশ করছিল। এ সময় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেস সানোয়ার হায়দার। পরে চলন্ত ট্রেনে তার দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী রিয়া আক্তার জানান, নিহত ব্যক্তি ট্রেন আসার আগে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন ট্রেনটি আসে তখন তিনি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সানোয়ার হোসেন উপজেলা বন্যা প্রকল্পের কার্য-সহকারী ছিলেন। তিনি দুই বছর ধরে এখানে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক, দুঃখজনক।

তিনি জানান, বেশকিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঝামেলা চলছিল তাঁর। সম্ভবত তিনি মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি রেলওয়ে ফাঁড়ির এএসআই আশীষ চন্দ্র দে জানান, রেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র ন র স মন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ