নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের আহ্বান আইজিপির
Published: 23rd, January 2025 GMT
নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিনি বলেছেন, “পুলিশ আস্থাভাজন হলে জনগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করবে।”
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে ৪৩তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) ওরিয়েন্টেশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা আইজিপি।
বাহারুল আলম বলেন, “আপনারা পুলিশের ভবিষ্যৎ নেতা। আপনাদের ওপর পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা নির্ভর করে। তাই, আপনাদের সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ তৈরি করেছে। আইনশৃঙ্খলার রক্ষক হিসেবে পুলিশকে জনগণের আবেগ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
তিনি বলেন, “পুলিশিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার এবং নতুন নতুন আইন সম্পর্কে আপনাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট থাকতে হবে।”
৪৩তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৮৪ জন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৮ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী।
ঢাকা/এমআর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত স্থগিতের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের
মিয়ানমারের রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়া নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রাজনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ আরাকানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্ভাব্য সব উপায়ে আরাকানের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের জনগণ আগ্রহী; কিন্তু আন্তদেশীয় করিডর একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এতে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব ও সামরিক নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত। বিশ্বের সর্বত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ‘মানবিক করিডর’ শেষমেশ সামরিক তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ফলে প্রস্তাবিত এই উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে উভয় দেশের জনগণের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন‘মানবিক করিডর’ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি, সরকারের কাছে জানতে চাইবে২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বভাবসুলভ একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের জনগণের প্রতিনিধি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নূ৵নতম আলোচনা না করে একক এই সিদ্ধান্ত জনগণের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর ষড়যন্ত্র চলছে। এখনো দেশে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
আরও পড়ুনরাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের২৭ এপ্রিল ২০২৫