Risingbd:
2025-11-03@11:16:51 GMT

‘ভোরের কাগজ খুলে দিন’

Published: 23rd, January 2025 GMT

‘ভোরের কাগজ খুলে দিন’

‘ভোরের কাগজে’র কার্যালয় খুলে দেওয়া, পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখাসহ বকেয়া পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইলে কর্ণফুলী গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এইচআর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নিয়ে ‘ভোরের কাগজে’র বন্ধ কার্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় পত্রিকার মালিক সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে তার অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে ফেলতে হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

‘ভোরের কাগজ’ কর্ণফুলী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক নোটিশ টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরনো এ সংবাদপত্রটির বন্ধ ঘোষণা করা হয় গত সোমবার।

আরো পড়ুন:

টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

ফরিদপুরে সাংবাদিকের বাসার গ্রিল কেটে চুরি

ওই নোটিশে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ২০-০১-২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।’

পরের দিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন দাবি মেনে নিতে মালিকপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় মালিকপক্ষের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘোষণা অনুয়ায়ী আজ (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এইচআর ভবনের সামনে অবস্থান নেন সংবাদপত্রটির কর্মীরা।

সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা ‘ন্যায্য পাওনাসহ' ভোরের কাগজ বন্ধের পেছনের ‘ষড়যন্ত্রকারীদের' আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।

এ সময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, “ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, অন্যায় তো অনেক করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা যে অন্যায় করছেন, আমরা সেগুলো টেনে আনতে চাই না। জুলাই আন্দোলন বিপ্লবীদের আপনারা সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই কথাগুলো ভুলে যেতে চেয়েছিলাম।”

“আমরা চেয়েছিলাম নতুন বিপ্লবী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদর্শ গণমাধ্যম হয়ে উঠবেন। কিন্তু আপনারা সাংবাদিকদের পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেকটা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিন। সেই কাজটি না করে সাবের হোসেন পত্রিকার প্রায় ১ হাজার সংবাদকর্মীর পাওনা না দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।”

সাবের হোসেন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে করে ডিইউজের সভাপতি বলেন, “আপনারা গণভবনে দিয়ে দেখুন। শেখ হাসিনার অন্যায়ের জন্য সেখানকার প্রত্যেকটি ইট মানুষ খুলে নিয়ে গেছে। শুধু এইচআর ভবন নয়, আপনার প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ইট এদেশের জনগণ খুলে নিয়ে যাবে।”

“আপনারা ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পত্রিকাটি খুলে দিন। তাদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিন। তা না হলে সামনের দিনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিব।”

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “এভাবে বিনা নোটিশে একটা পত্রিকা অফিস বন্ধ করা যায় না।”

“আপনারা জানেন দীর্ঘদিন এদেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গণমাধ্যমের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সেই নিপীড়ন থেকে আমরা মাত্র বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের কাজের স্বাধীনতা, লেখার এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন ফ্যাসিস্ট সাবের হোসেন এভাবে তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।”

তিনি বলেন, “আমরা সাবের হোসেন চৌধুরীকে বলতে চাই, আপনি দীর্ঘদিন এই পত্রিকাকে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। সংবাদপত্রের আইন অনুযায়ী পত্রিকার সব কর্মীদের পাওনা পরিশোধ করে দিন। আর যদি পাওনা পরিশোধ না করেন, তাহলে এখানে আপনার কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য চলতে দেওয়া হবে না।”

এ সময় ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, নির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর মিয়া, ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক কবি সালেক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুকুল শাহরিয়ারসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদকীয় বিভাগের ইনচার্জ সালেক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন হাশিম, স্টাফ রিপোর্টার এস এম মিজান, বিজ্ঞাপন বিভাগের ডেস্ক নির্বাহী মো.

আক্কাছ আলী ও অফিস সহকারী আব্দুল ওয়হাব প্রমুখ।

এছাড়া কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সার্কুলেশন বিভাগের ইনচার্জ তসলিম চৌধুরী, বিজ্ঞাপন বিভাগের ডেপুটি ম্যানজার নুর মোহাম্মদ স্বপন, কম্পিউটার বিভাগের ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া, স্পোর্টস ইনচার্জ শামসুজ্জামান শামস, আইটি বিভাগের ইনচার্জ মেহেদী হাসান, উৎপাদন বিভাগের ইনচার্জ শরণ হাওলাদার প্রমুখ। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ গ র ইনচ র জ কর ম র কর ছ ন আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ