কমিউনিকেশন খাতের প্রতিষ্ঠান জানালা বাংলাদেশ তাদের ২৪ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। ২৪ বছর আগে রেজাল্ট ড্রিভেন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে কমিউনিকেশন জগতে বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই জানালা বাংলাদেশ শুরু করেছিলো তাদের যাত্রা। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ এখন দাপুটে অবস্থানে রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানালা বাংলাদেশ-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে। আজ এটি একটি সোশ্যাল ও বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ কমিউনিকেশনের এক্সপার্ট সল্যুশন নিয়ে প্রিমিয়ার ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেট কমিউনিকেশন এজেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২৪ বছরের এই যাত্রায় জানালা বাংলাদেশ ৩২টি ইন্ডাস্ট্রি ভার্টিক্যালে ৫০০টিরও বেশি ক্লায়েন্টকে সার্থকভাবে সেবা দিয়ে আসছে। শক্তিশালী কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজি ও টুলসের মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ সোশ্যাল কমিউকেশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে।

বিগত ২৪ বছরে প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দনের দূরদর্শী নেতৃত্বে জানালা বাংলাদেশ একটি ক্রিয়েটিভ স্টার্টআপ থেকে কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজির পাওয়ার হাউজে পরিণত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, জানালা বাংলাদেশ শুধুমাত্র পোর্টফোলিও তৈরিতে নয়; ক্রিয়েটিভিটি, স্ট্র্যাটেজি ও নির্ভুল এক্সিকিউশনেও পারদর্শী।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দীর্ঘ ২৪ বছরের এ যাত্রায় জানালা বাংলাদেশ ১ হাজার ৩৫০ এরও বেশি কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটিজি ও ১ হাজার ৫০০ এরও বেশি অডিওভিজ্যুয়াল তৈরি করে পৌঁছে গেছে গ্রাম ও শহরের অসংখ্য মানুষের কাছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ১ হাজার ২০০ এরও বেশি অ্যাক্টিভিশনের মাধ্যমে এজেন্সিটি দেশ-বিদেশে ১৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ৪টি মহাদেশের ৯টি দেশে বিস্তৃতির মাধ্যমে জানালা বাংলাদেশ উদ্ভাবনী সমাধানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা অর্জন করেছে।

জানালা বাংলাদেশ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্প সম্পন্ন করেছে, যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্টে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। একইসাথে জানালা বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরের জন্যও দারুণ সব প্রোজেক্টে কাজ করেছে, যা উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। শক্তিশালী হিউম্যান রিসোর্স নেটওয়ার্ক তৈরির মধ্য দিয়ে এর সাফল্য আরও প্রতিফলিত হয়েছে। এর মাধ্যমেই জানালা বাংলাদেশ অর্জন করেছে আইএসও সার্টিফিকেট।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন কর ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। ঘটনার পরপরই তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে ১০-১৫ জনের একটি দল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে এসে সেখানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার এবং একজনকে আটক করেছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাক উল্টে একের পর এক বিস্ফোরণ

ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেলায়েত শেখ বলেন, “স্লোগানের শব্দ শুনে আমি বারান্দায় গিয়ে দেখি ২০-২৫ জন ব্যানার নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিচ্ছে। তারা মিছিল শেষে ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা দ্রুত সরে পড়ে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ঘটনার পরই প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেন। প্লাস্টিকের দুটি ব্যাগে মোট সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। শেখ মুজিব হলের পকেট গেটে দুটি বিস্ফোরিত হয়। বাকিগুলো মেডিকেল সেন্টার ও এনেক্স ভবন এলাকার দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, হাইকোর্ট এলাকা থেকেও একটি বিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া গেছে। এসব ককটেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট নিয়ে গেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানান, একটি মিছিল বের হওয়ার পর পুলিশ ধাওয়া দিলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ