নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছের পোনা শিকার, ১০ জেলে আটক
Published: 24th, January 2025 GMT
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করে একটি চক্র পারশে মাছের পোনা নিধন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ চক্রের ১০ জেলেকে এরইমধ্যে আটক করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার রাতে পশুর নদী সংলগ্ন বগুরা খাল এলাকায় বন বিভাগের দুটি ক্যাম্পের বনরক্ষীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার পারশে মাছের পোনা জব্দ করা হয়। পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ফরেস্ট স্টেশনের অফিসার (এসও) সুরজিৎ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃত জেলেরা হচ্ছেন- ইউসুফ শেখ (৪৩), হাফিজ গাইন (৪৫), কামাল সানা (৪২), হালিম শেখ (৪০), শামিম শেখ (২৭), আজিজ গাজী (৩৮), জামাল শেখ (৪৫), হাবিবুর গাজী (৬৫), পিন্টু সানা (৪০) ও হাবিবুর রহমান সানা (৫০)। তাদের সবার বাড়ি খুলনা জেলার দাকোপ থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
বন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী আরও জানান, একটি পারশে মাছের পোনা আহরণের বিপরীতে কমপক্ষে ১১৯ প্রজাতির চিংড়ি, ৩১২ প্রাণী কণা ও ৩১টি অন্য প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। পারশের পোনা নিধনে জেলেরা নিষিদ্ধ মনোফিলামেন্ট বা মশারি জাল ব্যবহার করায় শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পোনা নষ্ট করছে। এতে সুন্দরবন এলাকায় আশঙ্কাজনকহারে মাছের উৎপাদন কমছে। এজন্য পারশে মাছের পোনার পাশাপাশি সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সব মাছের রেণু পোনা ধরা বা শিকার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একদল অসাধু জেলে পারশে মাছের পোনা শিকার করে পশুর নদী হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গোপনে এ সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পশুর নদী সংলগ্ন বগুরা খাল এলাকা থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়।
আটক ১০ জেলেকে সিওআর (কম্পাউন্ড অফেন্স রিপোর্ট) মামলার মাধ্যমে অর্থদণ্ড ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কোথাও পারশে পোনা ধরার অনুমতি দেওয়া হয় না। কেউ আইন অমান্য করে বেআইনিভাবে মাছের পোনা শিকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন দরবন আটক স ন দরবন র ১০ জ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ